পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলতে পারিনে। কেননা কবি যদি ত্রিসীমানায় থাকে তাকে চাপা দেওয়া অসম্ভব। তোমার সাহিত্যিক বন্ধুরা নিশ্চয় তর্জমাট দেখেচেন, বিশুদ্ধ সাহিত্যের তরফ থেকে র্তারা কী বিচার করেন জানতে ইচ্ছে করি। সাহিত্যের বাইরেও এর মধ্যে র্তাদের ঔৎস্থক্যের কারণ আছে— সে হচ্চে আধুনিক বাংলায় বৈপ্লবিক মনস্তত্ত্বের একটুকরো ছবি। এ ঔৎসুক্য ক্ষণস্থায়ী হতে বাধ্য। অন্তত কবির তরফে এটাতে আমার । নিজের কোনো দরদ নেই– আমার দরদ হচ্চে এল অন্তর ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনী। যে ভাষায় তার বেদন ফুটে উঠেছে সে ভাষা কোনোমতেই রূপান্তরিত করা যায় না। সুতরাং বাঙালী পাঠক এর থেকে যা পাবে ইংরেজি পাঠক কোনোমতেই তা পেতে পারে না। এমন ফল আছে রস বাদ দিয়েও যার শাস থাকে, তা নিয়ে ব্যবসা চালানো যায়— কিন্তু আমের রস যে পেল না তাঠি নিয়ে সে কী বিচার করবে আন্দাজ করা শক্ত নয়। এই সব কথা যখন চিন্তা করি তখন মনে সংশয় হয় । তোমার প্রতি আমার অনুরোধ এই ওখানকার সমজদারদের মত নিয়ে যদি বোঝে এটা কেবলমাত্র চলনসইয়ের চেয়ে বেশি নয়, অথবা তার চেয়েও কম তাহলে ছাপতে দিয়ে না । এ ক্ষেত্রে পাব্লিশরদের মতের দাম অর্থের দাম দিয়ে । তারা জানে এটা যাকে বলে সেন্সেশনাল, একদফা বিক্রি হবে— লোকে দুইপক্ষ থেকে গোলমাল করবে, মুনফার দিক থেকে এর সার্থকতা.আছে। কিন্তু সেই বিচারটা অশ্রদ্ধেয়। যা হোক, ওখান থেকে তুমি খাটি ওজন পেতে S @ (t