পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হোক সংসারকে যদি চারদিক থেকে অঁাকড়ে থাকি তবে সেটাতে কল্যাণ নেই। দীর্ঘকালের অভ্যাসবশতই সম্বন্ধসূত্রগুলো জীর্ণ হয় তবু মরতে চায় না, আমি সেটাকে লজ্জাকর মনে করি। উপনিষদে আছে দুই পাখী এক ডালে আছে। একটি পাখী ভোগ করে আর একটি পাখী দেখে। সংসার থেকে বিদায় নেবার পূর্বে সেই ভোগের দিক থেকে নিরাসক্ত দেখার দিকে সরে আসতে ইচ্ছে করচি। ভোগ বলতে কেবল সুখভোগ বোঝায় না, কৰ্ম্মভোগও বটে। তার থেকে ছুটি নেবার অধিকার আমার হয়েছে। অামি ফাকি দিই নি, নানা পথ দিয়েই নিজের শক্তিকে উৎসর্গ করেছি। কৰ্ম্মের উদ্যোগে যেমন সার্থকতা আছে কৰ্ম্ম থেকে অবকাশের মধ্যে তেমনি সার্থকতা আছে। সেই সার্থকতার জন্যে প্রতিদিনই আমার মন উৎসুক। তোমরা আছ যৌবনজোয়ারের উদাম টানের মধ্যে, আমাদের এই ঘাটের মনোবৃত্তি ঠিকমতো বুঝতেই পারবে না। তা নাই বোঝে, আমরা ডাঙায় এসে আমাদের পণ্য বেচেকিনে দিয়ে অনাগতের অভিমুখে তোমাদের বোঝাই করা নৌকোর ভাসান দেখচি। দেখতে আনন্দ আছে। জলে বাপ দিয়ে তোমাদের চলতি নৌকোয় চড়ে বসব এমন আশা কোরো না। যাক। নতুন কবিতাগুলি এণ্ডজ নিয়ে গেছে। তার কাছ থেকে পাবে। আমি যেরকম ছেটেকেটে দিয়েছি সেইটেকে চরম বলে ধরে নিয়ে না। তোমাদের বিচারবুদ্ধিকে খাটিয়ে। যেখানে আমার সঙ্গে মতের অনৈক্য হবে সেখানে তোমাদের \లని