পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এসেচে বলেই, নিজের দৈন্তকে নিয়েই জয়পতাকা বানাবার চেষ্টা করচে । ইতিহাসে কতবার এ রকম মেকি রাজা মহা সমারোহ করে এসেছে, তাদের প্রতাপের আড়ম্বরে ভিড়ের লোক মুগ্ধ হয়েছে, তার পরে হঠাৎ দেখা যায় সেই রাজাও নেই সেই ভিড়ও গেছে সরে। আর আজকের দিনের যে আধুনিক কাল পূৰ্ব্বতন মানুষের আনন্দের আদর্শকে অবজ্ঞা করতে প্রবৃত্ত হয়েছে, এরি কি নূতন ছাপমার মূল্যের তালিকা চিরকালের বাজারে চলবে ? যে দূরত্বের পরিপ্রেক্ষণিকায় একে ঠিকমতো যাচাই করা যেতে পারত তোমরা তার বাইরে, তোমরা আজকের দিনের মুখর ভিড়ের সঙ্গে অত্যন্ত ঘেঁষাঘেষি করে আছ। যাক এ সব তর্কে কোনো ফল নেই। আমার মন আজ নিতান্ত নিরাসক্ত— মুখের কথা কেনাবেচার হাটে আমার লোভ ক্ষীণ হয়ে এসেচে, জানি সে কতই ফাকা । —অমলার অকস্মাৎ মৃত্যুতে অত্যন্ত বেদন বোধ করেচি। তার পরে আমার স্নেহ ও শ্রদ্ধা গভীর ছিল । এমন মনস্বিনী এমন তেজস্বিনী সত্যপ্রতিষ্ঠ মেয়ে কম দেখেছি। তার সংসারে তার অভাব যে কত বড়ো প্রকাণ্ড অভাব তা বুঝতে পারি —কিন্তু কোনো কথা বলবার নেই। ৭ই পৌষের আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ কর। ইতি ২৩ ডিসেম্বর Y SW3)6. তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ➢ ግ8