পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by ጫ ৭ এপ্রিল ১৯৩৬ \ર્કે শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যের খবর পেয়েছ কিনা জানি নে । গল্পটাকে নাচে গানে গেথে নাট্যমঞ্চের উপরে প্রকাশ করা হয়েছে। এই পালাটা নিয়ে আমরা জয়যাত্রায় বেরিয়েছিলেম । কলকাতা পাটনা এলাহাবাদ দিল্লি মিরাট লাহোর এই কয় জায়গায় আসর জমিয়েছিলুম। সকল জায়গা থেকেই প্রভূত প্রশংসা পেয়ে এসেছি। যদি প্রত্যক্ষ দেখতে তাহলে বুঝতে গানে নাচে বর্ণচ্ছটার সমবায়ে সমস্তটার ভিতর দিয়ে অপরূপ সৌন্দর্য্যের কী রকম উৎকর্ষ অভিব্যক্ত হয়েছিল। পাশ্চাত্য দর্শকরা বারবার করে বলেছে এ জিনিষটা যুরোপে নিয়ে যাওয়া উচিত। লোকের মনোরঞ্জনের উদ্দেশে রঙ্গভূমির ভূমিকায় এই আমার শেষ প্রয়াস। কোনো একটি অনামা বন্ধু আমাদের ঋণমোচনের জন্য আমাকে এককালীন ষাট হাজার টাকা দান করে আমাকে নিস্কৃতি দিয়েছেন ।... বিশ্বভারতীর অর্থাভাব দূর করবার জন্যে দুৰ্ব্বল জীর্ণ শরীরকে ক্লাস্তির চরমসীমায় নিয়ে চলেছিলুম। শ্রদ্ধাবিহীনের দ্বারে ব্যর্থ ভিক্ষাপাত্র বহনের দুঃখ ও অসম্মান প্রত্যহ অসহ্য হয়ে উঠেছিল। প্রতিদিন উপলব্ধি করেছি আমার দেশে আমার যথার্থ স্থান নেই, আমি একান্তই বিদেশী । এমন সময়ে অকস্মাৎ এই অপ্রত্যাশিত অনুকম্প আমাকে বিস্মিত করেছে। এই দান ব্যক্তিগত, Σ Σ |Σ & » ፃ ፄ