পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই শাসন যখন আমাদের কোথাও পীড়া দেয় তখন তার আন্দোলনে স্বভাবতই সমস্ত ইংরেজজাতির পরেই আমাদের বিরুদ্ধভাব প্রবল হয়ে ওঠে। সমস্ত জাতির পরে এই অবিচার করার মধ্যে যে অন্যায় অাছে যে অসত্য অাছে তা আমাদের মনের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর । তাতে যে প্রমাদ ঘটায় অন্যদিকে তার অনেীচিত্য বিচার না করলেও বলা যেতে পারে যে আমাদের রাষ্ট্রমঙ্গলসাধনায় সে প্রতিকূল। তুমি আমার মত জানো এবং অন্যদেরও আমি অনেকবার বলেছি যে পরজাতির শাসনভারপ্রাপ্ত সমস্ত যুরোপীয় জাতির মধ্যে ইংরেজকেই অামি সব চেয়ে শ্রদ্ধা করি। ওদের সঙ্গে আমাদের যে রকম অস্বাভাবিক সম্বন্ধ তাতে এই শ্রদ্ধার কথা আমাদের পক্ষে বলা কঠিন এবং আমাদের পক্ষে শোনা শ্রুতিসুখকর নয় । সম্প্রতি আমাদের প্রতিবেশে এমন অনেক নিদারুণ ঘটনা ঘটেছে যার সঙ্গে ওদের সংযোগ প্রত্যক্ষ হয়েছিল অথচ যা উচ্চারণ করবার অধিকার আমাদের নেই, যার ফলে দেশে আগুন ছড়িয়ে গেছে এবং তার শাস্তি আমাদের যুবকেরাই ভোগ করেছে। এই কারণগুলিতে বাংলাদেশের যুবকদের মনের দৃষ্টি তীব্রভাবে কলুষিত হয়ে গেছে। তৎসত্ত্বেও বলতে হবে ইংরেজকে বিচার করবার সময়ে এই সমস্ত অভু্যুৎপাতকেও একান্ত করে দেখলে চলবে না। যুরোপে আরো কয়েকটি বড়ো বড়ো মহাজাতি আছে, পরদেশীয়দের শাসন করবার ক্ষেত্র আছে তাদের অধীনে। তারা যে আমাদের শাসনকৰ্ত্ত নয় অন্তত এ কথাটা আরামের দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেই স্বীকার করতে b"ని