পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমেই বলে রাখি হিন্দুর তুলনায় ভাগবাটোয়ারার হিসাবে মুসলমান কতগুলো পদ ও সুবিধা পাবে তাই গণনা ক’রে ক্ষুব্ধ হোতে লজ্জা বোধ করি। এই রকম কাড়াকাড়ি নিয়ে আমাদের মধ্যকার বিরুদ্ধতা আরো তীব্ৰ ক’রে তোলা আমার মতে নিৰ্বদ্ধিতা। এ সমস্তই বাহ এবং তুচ্ছ। কিন্তু যখন থেকে আমাদের মধ্যে রাষ্ট্রক বিভাগের সঙ্কল্পমাত্র হয়েছে তখন থেকে পরে পরে যে সকল বিভীষিকা প্রবলবেগে উদ্যত হোতে পারল, এবং অবশেষে আমাদের ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি যে রকম ক্রুর দৃষ্টিপাত রূঢ়ভাবে সম্ভবপর হোলো তখন ব্যাপারটাকে ভারতশাসনের দূতক্রীড়ায় একটা পোলিটিকাল চালমাত্র বলে আমার মতো সাহিত্যিকের পক্ষেও চুপ করে থাকা নিতান্ত কষ্টকর হয়ে উঠল। নইলে আমাকে এই আলোচনার ক্ষেত্রে কিছুতেই টানতে পারত না। রাষ্ট্রশাসনসৌকর্য্যের দিক থেকে নয়, সাধারণ মনুষ্যত্বের দিক থেকে ব্যাপারটাকে বিচার করবার সময় এল। রাষ্ট্রিক ভাগবাটোয়ারা থেকে যে সব অশুভ লক্ষণ দেখা যাচ্চে এ যে সকল দিকেই আমাদের সমাজকে সংস্কৃতিকে শান্তিকে আক্রমণ করবার আয়োজন করছে। এতে মুসলমানের ক্ষতি আমাদের চেয়ে কিছুমাত্র কম নয়। মুসলমানের সম্বন্ধে দিনে দিনে আমাদের ঐতিহাসিক স্মৃতিকে যদি চিরদিনের মতো বিষাক্ত ক’রে তোলে তার মতো সভ্যনীতি-উচ্ছেদক সৰ্ব্বনেশে অভিঘাত আর কী হোতে পারে ? তুমি জানো আমি মুসলমান বিদ্বেষী নই। অনেক শ্রদ্ধেয় মুসলমানের সঙ্গে আমার সখ্য >>|>" Y S \o