পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজ ও সুন্দর হয়েছে। জনসাধারণ শ্রেণীভুক্ত বিস্তর মুসলমানের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল, তাদের আমি আন্তরিক স্নেহ করেছি। তাদের আমি আনুকূল্য দিয়েছি এবং তাদের কাছ থেকে আনুকূল্য পেয়েছি। কখনো তারা আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করেনি। বস্তুত সেইজন্তেই বৰ্ত্তমান ব্যবস্থায় আমি এত উদ্বিগ্ন। পোলিটিকাল পক্ষপাতে যে মনোভাবের সৃষ্টি এবং যে সকল আচরণের উদ্ভব হচ্চে সেটা অব্যাহত থাকলে যে রকম সাম্প্রদায়িক নিন্দনীয়তা ক্রমশই প্রচণ্ড হয়ে উঠবে তার মতো বর্বর্বর ও অরুচিকর আর কিছু হোতে পারে না। পরস্পরের বিরুদ্ধে পরস্পরের ব্যবহারে এমন একটা অদ্ভুত জেদ দেখতে দেখতে বেড়ে উঠছে সেটাকে ছেলেমানুষী ব’লে হেসে উড়িয়ে দিতে পারতুম যদি না কথায় কথায় সেটা শোকাবহ হয়ে উঠত। একটা দৃষ্টান্ত, মসজিদের সামনে দিয়ে হিন্দুশোভাযাত্রায় বাজনা বাজিয়ে চলা। এতদিন এ নিয়ে কথা ওঠে নি আজও না হয় না উঠত ; যদি উঠেইছে তা হোলে কিছুক্ষণের জন্তে মসজিদের উপাসকদের প্রতি শ্রদ্ধা ক’রে বাজনা না হয় বন্ধ রাখাই হোত, এরকম রফানিস্পত্তি অত্যন্তই সহজ । কিন্তু যে মনোভাব থাকলে সহজ ব্যাপারও অসাধ্য হয় সেইটেই সব চেয়ে বিপদের বিষয়। খুব সম্ভব হিন্দু শোভাযাত্রীদের হাতে মসজিদের সামনে এলেই ঢাকের কাঠি দ্বিগুণ প্রবল হয়ে ওঠে। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের উপাসকদের কারো কারো কাছে শুনেছি ঠিক তাদের উপাসনাকালে সরস্বতী পুজোর ভাসানের বাজনা উপাসনামন্দিরের সামনে অস্বাভাবিক উদ্যমের সঙ্গে 〉。8