পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু একদিন সময় আসবে যখন মোট অঙ্কে বিল চুকোতে হবে। উপস্থিত সুবিধের খাতিরে রাষ্ট্রের ভারসামঞ্জস্য উলটে দিলে সে খেলায় খেলোয়াড়কে বিপন্ন হতেই হবে। আসল কথা রাষ্ট্রনেতারা যখন সুবুদ্ধির জায়গায় রাগারগির হাতে হাল ছেড়ে দেন তখন কেবল সওয়ারিদের নয় ভাবনার দিন আসে কর্ণধারদেরও — প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপকের পদ যদি তোমার ভাগ্যে জোটে তবে আমাদের ভাগ্যেও সেটা ম্প্রহণীয় হবে।. আফ্রিকার সেই কবিতা তর্জমা করে পাঠিয়েছি। সে তর্জমার উপর আমার বিশেষ শ্রদ্ধা নেই। আমার বর্তমান সেক্রেটারি সাহেবের প্রবর্তনায় অত্যন্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও লেখাটা স্পেক্টেটরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তুমিও এক কপি এতদিনে পেয়েচ । আমাদের একটা নৃত্যাভিনয় হয়ে গেল। ভালো হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস— কিন্তু রুচির বিচারের ধ্রুব আদর্শ নেই —অতএব যার যা খুসি বলতে পারে। এ সকল ব্যাপারে চুপ করে থাকা বা গালমন্দ দেওয়ার মাঝখানে সেতু বেঁধে দেবার ক্ষমতা কারো নেই। যোগ্য অযোগ্যের বাছাই করাও দুঃসাধ্য। যুদ্ধপর্বের পরে শান্তিপর্বে এইটেই শেষ কথা যে আমার সঙ্গে যার মতে মেলে সেই যোগ্য, যার মেলে না সেই অযোগ্য । ইতি ২৯৩৩৭ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ