পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের দেশটা অন্ধকার গুহার মতোই কঠিন সীমাবেষ্টিত— এখানে সেই আলোক নেই যাতে বাইরের দৃষ্টি সঞ্চরণ করতে পারে। কিন্তু এটা তো সত্য, স্থষ্টি তার বেষ্টনের মধ্যে থেকেও সীমাকে বহুদূরে অতিক্রম করে— যেমন করেছে গুহাচিত্রগুলি। এই অতিক্রম করার মানে এ নয় যে প্রাচীরসীমার বাইরে তারা আবিষ্কৃত হবেই, তার মানে এই যে খ্যাতিহীনতার দ্বারা তাদের লাঘব হতে পারে না— সৃষ্টিকৰ্ত্তার যখনি তাদের স্থষ্টি করেছে তখনি সেই মুহূৰ্ত্তটুকুতে তাদের দেনাপাওনা দেশকালের অতীত হয়ে ছাপিয়ে উঠেছে। এ কথাটা কেন বিশেষ করে আজ আমার মনে হোলো সে কথা তোমাকে বলি। আজ আমার মন যে ঋতুকে আশ্রয় করে আছে, সে দক্ষিণ হাওয়ার ঋতু, অন্তরের দিকে তার প্রবাহ, কিছুকালের জন্তে ফুল ফুটিয়ে ফুল ঝরিয়ে দেবে দৌড়। সেই মাতালটা বড়ো হাটের জন্যে ফসল ফলানো কেয়ার করে না । কিছুদিন থেকে সমস্ত চণ্ডালিকাকে গানময় করে তুলতে ব্যস্ত আছি। খ্যাতির দিক থেকে এর দাম নেই বললেই হয়। প্রথমত বিদেশী হাটে রপ্তানি করবার মাল এ নয়, দ্বিতীয়ত দেশের মাতববর লোকেরা এর বিশেষ খাতির করবেন বলে আশাই করি নে, যদি করেন তবে প্রভূত মুরুবিয়ানা মিশিয়ে করবেন। অথচ দিন রাত্রি এত পরিপূর্ণ হয়ে আছে আমার মন, যে সমস্ত সামাজিক কর্তব্য তুচ্ছ বলে মনে হয়। অর্থাৎ আছি আমি অজস্তাগুহায়— তার বাইরেকার সংসারটা সম্পূর্ণ মুলতবি বিভাগে রয়ে গেছে, সুতরাং এখন وف ہ اجد