পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে মনে হয়— মনটা অন্ধকার করে থাকলে আমাদের ভাগ্যলক্ষ্মীকে অকারণে বা অল্পকারণেই অপদেবতা বলে কেবলি ভ্রম হতে থাকে। খুব জোরে হাসতে শিখলে তারই আলোয় অন্তত সংসারের মিথ্যে ভূতগুলো দৌড় মারে। খুব গলা ছেড়ে ঐ হাসতে পারাটা পৌরুষ । রথীকে লিখে দিচ্চি তোমার খাতাখানি প্রমথকে পাঠিয়ে দেবে। ইতি ৪ঠা ভাদ্র ১৩২৪ শুভাকাঙ্ক্ষী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (t ৩১ অক্টোবর ১৯১৭ তুমি শান্তিনিকেতনে এসে আমার কাছে কিছুদিন থাক । নিজের মনটাকে বেশী প্রশ্রয় দিয়ে না। সুখ দুঃখের খুব কঠিন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই এ পর্য্যন্ত চলে এসেচি— কতবার হাল ছেড়ে দিতে ইচ্ছা হয়েচে । কিন্তু এইটেকেই আমি আমার সৌভাগ্য বলে মনে করি যে, বেদনার ভিতর দিয়েই জীবনটাকে নিবিড়ভাবে পেয়েচি। জীবনটা যদি নিতান্ত ছায়ায় লালিত, পেলব এবং সেখীন হত তাহলে তার কোনো মূল্য থাকৃত না। যদি তুমি ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা কর তবে একদিন এই প্রাণপরিপূর্ণ পৃথিবীর রৌদ্রালোকিত কলধ্বনি-মুখর প্রভাতে জেগে উঠে দেখবে তুমি যে অবসাদে > X