পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্রামিত হয়ে চলেছে দেখে মন বীভৎসতায় অভিভূত হোলো । একদিকে কী অমানুষিক স্পৰ্দ্ধা, আর একদিকে কী অমানুষিক কাপুরুষতা । মনুষ্যত্বের দোহাই দেবার কোনো বড়ো আদালত কোথাও দেখিতে পাই নে। জগৎজোড়া গৃধু তার তাড়নায় এক পক্ষে অভ্ৰভেদী স্পৰ্দ্ধা অন্য পক্ষে ভূলুষ্ঠিত সেলাম— কী অসহ কুন্ত্রী। ধ্বংস মহাসাগরের মুখের এই ভাটার টান একদিন হয়তো থমকে যাবে একদিন হয়তো উল্টো স্রোতের জোয়ার কল্লোলিত হয়ে উঠবে— সেই শুভ লক্ষণ দেখে যেতে পারব কিনা কে জানে। আমাদের কালের প্রথম যুগে যে সমস্ত শ্রদ্ধার দান অযাচিত দাক্ষিণ্যে আমাদের দ্বারে এসেছিল, আজকের দিন অট্টহাস্তে তাদের লাথিয়ে ধূলোয় গুড়িয়ে দিয়ে চলেচে, সেইসঙ্গে তাদের নিত্যতার সম্বন্ধে মানুষের এতকালের বিশ্বাস একটা শ্বাসরোধকর অঁাধির মধ্যে উড়িয়ে দিয়ে চলল। এর নিষ্ঠুর পরিণাম আজ তো দেখচ পৃথিবীর তিনমহাদেশে— এই বিশ্বব্যাপী আশঙ্কার মধ্যে আমরা আছি ক্লীব নিস্ক্রিয় ভাবে দৈবের দিকে তাকিয়ে— এমন অপমান আর কিছু হতে পারে না— মনুষ্যত্বের এই দারুণ ধিক্কারের মধ্যে আমি পড়লুম আজ ৭৮ বছরের জন্মবৎসরে । ইতি ১ বৈশাখ ১৩৪৫ রবীন্দ্রনাথ ૨ S (દ