পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেটা ক্রমশ ফুটতে ফুটতে হয়ত একটা নূতন স্তরের ধ্রুবপদে গিয়ে পৌছবে । কিন্তু অন্যত্র যেটা দেখি সেটার অনেকখানিই চাল, তার চলন গিয়ে ঠোকর খায় সঙ্কীর্ণ সীমায় । কান পেতে থাকি, জিজ্ঞাসা করি এরা কী শোনাতে চায়— কানে আসে গোলমাল, নতুন ফ্যাশানের কলরব । গোলমাল করার চেয়ে সহজ কিছু নেই– যদি সবটাই হয় গোল, মাল কিছুই না থাকে। কোনো এক দেশে ভাঙনের যুগের ব্যাকুলত যে কাকুতি জাগিয়ে তোলে, তার উদ্ব্যগ্র ভাষা অনেকখানি হয়তো বোঝা কঠিন, কিন্তু বোঝবার একটা কোনো বিষয় তার ভিতরে আলোড়িত হয়, তার অন্তর থেকে বাণীর ইঙ্গিত ফেনায়িত হয়ে উঠতে থাকে— সে ইঙ্গিত আপন মত্ততায় ব্যাকরণেরও বাধানিয়ম ভাঙে। বস্তুত সেই ভাঙাচোরার উচ্ছৃঙ্খলতাই তার ঈডিয়মরূপে কাজ করে। যেখানে বলবার উদ্বেগেই বলবার বেড়া ভাঙতে থাকে সেখানে বেড়া ভেঙেছে বলেই হয় তো রাস্তার নির্দেশ পাওয়া যায়। কিন্তু যেখানে অন্তগুর্চ আবেগে বলবার কোনো তাড়া নেই কেবল বেড়া ভাঙারই উৎসাহ আছে সেখানে মনে সন্দেহ জাগে । পাশ্চাত্যজগতে যখন মানুষের মনের মধ্যে কোনো একটা চাঞ্চল্য জাগে তখন ঝড় যেমন অরণ্যের গাছপালার মধ্যে কোলাহল তোলে সেইরকম সেখানকার পুথিপাড়ায় জাগায় মুখরত। অত্যন্ত ঘন সেখানকার পুথির ভিড়। তাই হাওয়া জোরে বইলে এক পুথি থেকে আর এক পুথিতে তোলপাড় সঞ্চারিত হতে থাকে— তৈরি হয়ে ওঠে পুথির কোলাহল । وئچ ډ