পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে দেবতারা স্বয়ং স্মৃষ্টিকর্তা। হয়তো সেই মুহূর্তে র্তার কড়ি মূল্য দেন, কিন্তু সে স্বৰ্গীয় কড়ি। এই যা সব বকচি তা এখনকার হিসাবে শোনাচ্চে অত্যন্ত অবাস্তব— বিশেষত এর মধ্যে রূপক এবং ভাষার অলঙ্কার . এসে পড়চে । ওটা আমার মজ্জাগত অভ্যাস। পারো যদি ওসব বাদ দিয়ে পোড়ে। আর একটু স্পষ্ট করে বলি। ~গানেতে মনের মধ্যে এনে দেয় একটা দূরত্বের পরিপ্রেক্ষণী । বিষয়টা যত কাছেরই হোক সুরে হয় তার রথযাত্রা, তাকে দেখতে পাই ছন্দের লোকান্তরে, সীমান্তরে, প্রাত্যহিকের করস্পর্শে তার ক্ষয় ঘটে না, দাগ ধরে না N আমার শু্যামা নাটকের জন্যে একটা গান তৈরি করেছি, ভৈরবী রাগিণীতে :– জীবনে পরম লগন কোরো না হেলা হে গরবিনী । এই গরবিনীকে সংসারে দেখেছি বারম্বার, কিন্তু গানের মুর শুনলে বুঝবে, এই বারম্বারের অনেক বাইরে সে চলে গেছে। যেন কোন চিরকালের গরবিনীর পায়ের কাছে বসে মুগ্ধ মন অন্তরে অন্তরে সাধন করতে থাকে। সুরময় ছন্দোময় দূরত্বই তার সকলের চেয়ে বড়ো অলঙ্কার। এই দূরবিলাসী গাইয়েটাকে অবাস্তবের নেশাখের বলে যদি অবজ্ঞা করে, এই গরবিনীকে যদি দোক্তা খেয়ে পানের পিক ফেলতে দেখলে তবেই তাকে সাচ্চা বলে মেনে নিতে পারে, তবে তা নিয়ে তর্ক করব না— স্থষ্টিক্ষেত্রে তারো একটা জায়গা আছে, a\ご)