পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু সেই জায়গাদখলের দলিল দেখিয়ে আমার সুরলোকের গরবিনীকে উচ্ছেদ করতে এলে আমি পেয়াদাকে বলব ওকে তাড়িয়ে তো কোনো লাভ নেই। কেননা ঐ আঁচলে পানের পিকের ছোপলাগা মেয়েটা জায়গা পেতে পারে এমন কোনো ঘোর আধুনিক ভৈরবী রাগিণী হাল আমলের কোনো তানসেনের হাতে আজে তৈরি হয় নি। এই স্বরে যে চিরদূরত্ব স্বষ্টি করে সে অমর্ত্যলোকের দূরত্ব, তাকে অবাস্তব বলে অবজ্ঞা করলে বাস্তবীকে আমরা তাদের অধিকার স্বচ্ছন্দে ছেড়ে দিয়ে যাব, এবং গিজেতে গিয়ে প্রার্থনা করব ত্রাণকর্তা এদের যেন মুক্তি দেন । গানে আমি রচনা করেছি শু্যামা, রচনা করেছি চণ্ডালিকা। তার বিষয়টা বিশুদ্ধ স্বপ্নবস্তু নয়। তীব্র তার সুখদুঃখ তার ভালোমন্দ । তার বাস্তবতা অকৃত্রিম এবং নিবিড় । কিন্তু এগুলোকে পুলিস কেসের রিপোর্টরূপে বানানো হয় নি— গানে তার বাধা দিয়েছে— তার চারদিকে যে দূরত্ব বিস্তার করেছে তাকে পার হয়ে পৌছতে পারে নি যা কিছু অবাস্তর যা অসংলগ্ন, যা অনাহুত আকস্মিক। অথচ জগতে সবকিছুর সঙ্গেই আছে অসংলগ্ন, অর্থহীন, আবর্জনা ; তাদেরই সাক্ষ্য নিয়ে তবেই প্রমাণ করতে হবে সাহিত্যের সত্যতা এমন বেআইনী বিধি মানতে মনে বাধচে। অন্তত গানে এ কথা ভাবতেই পারি নে। আজকালকার যুরোপে হয় তো স্বরের ঘাড়ে বেস্থর চড়ে বসে ভূতের নৃত্য বাধিয়ে বসেছে। আমাদের আসরে এখনো এটা পৌছয় নি— কেননা আমাদের পাঠশালায় যুরোপীয় গানের ૨૭૨