পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চর্চা নেই। নইলে এতদিনে বাংলায় নকল বেতালের দল কানে তালা ধরিয়ে দিতে কসুর করত না । যাই হোক যখন বাস্তব সাহিত্যের পাহারাওয়ালা আমাকে তাড়া করে তখন আমার পালাবার জায়গা আছে আমার গান। একেই বুঝি এখনকার সাইকলজি বলে এসকেপিজ ম্। আর আছে আমার ছবি । কোথা থেকে দেখা দিতে এসেছে এই শেষ বেলায়, যখন রোদুর পড়ে এল। আমার এই রেখানাট্যের নটী আর কারো চোখে ধরা দেয় কিনা তার সঠিক খবর পাইনে। ইংলণ্ড থেকে দুই একটা প্রেসনোটিস বেরিয়েছে—নিন্দে করে নি— দুই একটাতে আছে পেটভরা রকমের প্রশংসা। প্যারিসে একদা এর চেয়ে বেশ উচু গলায় বলেছিল বহুৎ আচ্ছা । কিন্তু এই প্রশংসা আমার মনকে অঁাকড়ে ধরে নি, মুক্ত আছে মন, আমার ছবির প্রশংসা টেকসই কিনা সে তর্ক বাজারে ওঠে নি, আমার মনেও না । আমার চৈতন্য-অন্তঃপুরে রেখারূপের জাছ নর্তকীরা একদিন পর্দানশীন ছিল, আজ পর্দা সরিয়ে বেরিয়ে এসেছে। অামার কাছে এই অদ্ভুত প্রকাশলীলার আনন্দই যথেষ্ট। ত্রিপুরার পরলোকগত রাধাকিশোর মাণিক্যকে গবর্মেন্ট যখন প্রথম মহারাজ উপাধি দেবার প্রস্তাব করেছিলেন তিনি বলেছিলেন, আমি তো আমার আপন প্রজার কাছে মহারাজাই, আমার এ পদ চিরস্থায়ী। কিন্তু সরকার বাহাদুর যে উপাধি দেবেন, সে দিতেও পারেন আবার কেড়ে নিতেও পারেন— কী বা তার দাম । আমার ছবির খ্যাতির সম্বন্ধেও সেই কথা । তার 4 २७७