পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাকে উপেক্ষা করতে হবে। ভাবতেই পারে না যে জগতে সামান্ত লোকের স্থান যদি সামান্ত পরিমাণেই না হয় তাহলে অসামান্তদের দাড় করিয়ে রাখতে হয় সদর রাস্তায় । মাঝে মাঝে নানা খেয়াল মাথায় চাপে । প্রবন্ধ লেখবার বয়স গেছে । তা ছাড়া প্রবন্ধ আপন ভার এবং আয়তন নিয়ে অধিকাংশ রাস্তাতেই চলতে পারে না ; চিঠি চলে যায় বিনা-বাধানে রাস্তায় বাইসিক্লের মতো। চিঠির সেই হালকা চাকায় আমার মন আজকাল চলতে উৎসুক। কিছু দিন থেকেই ভাবছি তোমাকে একখানি চিঠি লিখি— হয়ে উঠছে না। আমাদের দেশে গোধূলির এক রকম সি ছরে রঙের আলোকে বলে কনে-দেখা আলো, সেই আলোতেই কনের রূপ খোলে। সেই রকম এক জাতের অবকাশ আছে যাকে বলা যেতে পারে চিঠি-লেখা অবকাশ। সেটা ঘটে সময়ের সান্ধ্যক্ষণে, অর্থাৎ মানসিক দুপুর রোদ রেও নয়, অন্ধকার রাত্রেও নয়, যে প্রদোষের আলোর উপর কাজকামাইয়ের মান রং লাগে । আজ সকালবেলায় জমেছে ঘন মেঘের ছায়া, গত রাত্রির বর্ষণস্মৃতিভারে বাতাস মন্থর, থেকে থেকে বিদ্যুতের ঘোষণা অনুসরণ করে ডেকে উঠছে মেঘ। এই রকম সকালবেলাকার নিবিড় বাদলা সমস্ত দিনের নিষ্কর্মতার ভূমিকা বিছিয়ে দেয়। যাদের সঙ্গে সম্বন্ধটা স্বভাবতই মধুর অর্থাৎ লিরিক-জাতীয় তুমি যদি তাই হতে তাহলে আজকের এই চিঠিতে মেঘমল্লারের সুর লাগত। লিরিকের পর্ব শেষ হয়ে গেছে, ঠিক ミ8や