পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি থটু-কে আপাতত বলব মন্তব্য । যদিও মন্তব্য কথাটা অন্য অর্থে চলে গেছে। যদি বলি সুধীন্দ্রের “স্বগত” বইখানি মন্তব্যে ঠাসা, তাহলে এই বাক্যটা সুধীন্দ্রের ভাষার চেয়েও বেশি দুরূহ হবে বলে মনে করি নে। “কোনো কোনো কাব্য মন্তব্যভারাক্রান্ত, তাতে রসের অংশ কম” বললে বুঝতে বাধবে না। কিন্তু যদি বলি চিন্তাভারাক্রান্ত । তাহলে বোঝাবে দেউলে হবার পথে । মন্তব্য মন্থর ভাষা স্বভাবত আমার নয়— ফলের মধ্যে যেটুকু প্রোটন খাদ্য থাকে,আমার ভাষায় মন্তব্য অংশ সেইটুকু, আমার ভাষা কোনো দিন প্রোটন-ঘন পাঠার প্রতিযোগিতা করতে পারবে না— অন্তত নিজের বিচারে আমি এটা ঠিক করেছি। যাক, যে কথাটা কিছু দিন থেকে ভাবছি সেটা হচ্ছে এই :– মানুষের মনে একটা প্রবল জোয়ার ভাটার পর্যায় আছে । মানুষ বলছি যাকে, সে ব্যক্তিগত মানুষ নয়, নেশনগত মানুষ। প্রথম বয়সে যে নেশনের সংস্রবে আমাদের মনে প্রথম উদ্বোধন জেগেছিল, তার চিত্তসমুদ্রে তখন ভরা জোয়ার, তার উদার মনের প্রসারণ সকল দিকেই, মনুষ্যত্বের সকল প্রদেশেই। মনে স্থির করেছিলুম এই প্রসারণ কেবলি ব্যাপ্ত হোতে থাকবে, এই প্রসারণই পাশ্চাত্য সভ্যতার নিত্য স্বভাব। মনের ও হৃদয়ের সকল প্রকার রিপুগত বুদ্ধিগত সংকীর্ণতা থেকে মানুষকে মুক্তি দেবার জন্যই তার নিরস্তর প্রয়াস । এই জন্যই তখনকার পাশ্চাত্য সাহিত্য এত সহজে আমাদের মনকে অধিকার করেছে— তার বাণী স্বতই সর্বজনের ૨ 8br