পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিমুখী। এই প্রেরণার অনুকূলেই আমাদের জীবনকে গড়ে তুলতে প্রস্তুত হয়েছিলুম। তখনকার তরুণের দল ধর্মমত ও সমাজনীতির বাধগুলি ভাঙবার জন্য চঞ্চল হোলো, সেই সঙ্গে সঙ্গেই জাগল রাষ্ট্রনীতিক স্বাধীনতার সাধনা । আমি জানি, আমার মধ্যে সাহিত্যস্থষ্টির যে উৎসাহ উন্মুখ হয়েছিল তাতে সেই সম্প্রসারণ যুগের চরণপাতের ছন্দ লেগেছিল। ভাষা ও সাহিত্যে পূর্ববর্তী যুগশাসনের শিকল নিঃসংকোচে ছিড়ে ফেলবার ভরসা পেয়েছিলুম তখনকার সেই আবেগের আনন্দে । ভাটার সময় এল পৃথিবী জুড়ে। আমাদের এই কোণের দেশের ছোটো এলেকাতেও অকস্মাৎ তার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করলে । নবীনবয়সীরাও আচার বিচারের সনাতনত্ব নিয়ে স্পর্ধা করতে লাগল— ক্রমে ক্রমে উলটে গেল হাওয়া । প্রাদেশিকতা, সাম্প্রদায়িকতা, অচলায়তনের প্রাকণরশ্ৰেণী আভিজাত্যের গর্বে উদ্ধত হয়ে উঠল। একে উত্তরে হাওয়া বলতে পারি এইজন্যে যে ওটা এসেছিল উত্তর-পশ্চিম দিক থেকেই। কেননা তখন উত্তর-পশ্চিমের মনোরাজ্যে শীতের সংকোচন দেখা দিতে শুরু করেছে। বুদ্ধিপ্রভাবের বিরুদ্ধে একটা গভীর প্রতিক্রিয়া কাজ করতে লেগে গেছে। তাই আমাদের দেশেও সহজ হোলো বুদ্ধিকে অমান্ত করে সংস্কারকে শিরোধার্য করে নিতে, বিচারের স্বাধীনতা চার দিক হতে লাগল অবরুদ্ধ। ভালোমন্দের আদশের চেয়ে বড়ো হোলো চোখ বুজে মেনে চলার আদর্শ। দেখতে দেখতে চার দিকে ૨ 8 જે