পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানাবিধ নমুনার গুরুমূর্তির আবির্ভাব সংক্রামক হয়ে উঠল। পরলোক পথের পাথেয় মন্ত্রের জন্যে, ইহলোক পথের চালনাবিধির জন্যে যে কোনো কর্ণধারের হাতে নিজের কান সমর্পণ করে দিয়ে নিশ্চিন্ত হবার তুনিবার আকাজক্ষা ছেয়ে ফেললে সমস্ত দেশকে । এই তামসিক মনোবৃত্তিরই সাংঘাতিক চেহারা দেখা দিল যুরোপে। বড়ো বড়ো নেশন, বুদ্ধি বিদ্যা ও বীর্যে যারা অসামান্তত দেখিয়েছে, যাদের জয়দৃপ্ত ইতিহাসের শিক্ষাকে অনুসরণ করে রাষ্ট্রতত্ত্ব ও বুদ্ধি অনুশীলনে স্বাধীন কতৃত্বের গৌরবকে আমরা এত কাল একান্ত শ্রদ্ধায় স্বীকার করেছি তাদের অনেকেই আজ কেউ বা স্বেচ্ছায় কেউ বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ডিক্টেটরি মুঠোর সংকীর্ণ সীমানার মধ্যে নিজেদের নিম্পিষ্ট করে দিয়ে এক একটা বড়ো বড়ো জড়পিণ্ড পাকিয়ে তুলতে লাগল। এই নিঃসাড় জড়ত্ব সজীব মাংসকে পাথরকরে-তোলা বীভৎস ব্যাধির মতো মানব-জগতের সর্বত্র সঞ্চারিত হতে চলল। দলে দলে পোলিটিকাল গুরুদের ধনুর্ধর চেলারা সম্পূর্ণ হতবুদ্ধিতার তপস্যায় আজ প্রবৃত্ত । সেই তপস্যায় কৃচ্ছসাধনার অন্ত নেই। তাতে মস্তিষ্ককে, হৃদয়কে আত্মসম্মানকে স্বকৃত ও পরকৃত পীড়নে দ’লে দ’লে করছে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। অবশেষে আজ, এমন কি, কনগ্রেসের মঞ্চ থেকেও হিটলারি নীতির নিঃসংকোচ জয়ঘোষণা শোনা গেল। ছোয়াচ লেগেছে। --স্বাধীনতার মন্ত্র উচ্চারণ করবার জন্তে যে বেদী উৎসৃষ্ট সেই বেদীতেই আজ ফাসিস্টের সাপ “ Ф. е.