পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“শৈশব যৌবন ছ হু মিলি গেল”। এ তে মিলেই থাকে— এ নিয়ে তো সমাজে শৈশব এবং যৌবনের দুই বিরুদ্ধ দলে হাতাহাতি করে না তার পরে স্বভাবের নিয়মে প্রৌঢ় বয়সও আসে, তখন সাজগোজ আপনি ঘুচে যায়, আগেকার মতো সংকোচ করে সামলে কথা কওয়াটার প্রয়োজন থাকে না। ভাষাটা স্পষ্ট হয়, তার মধ্যে বুদ্ধির পরিণতি দেখা দেয় —কিন্তু তাই বলে যে সেটা বেহায়াগিরি আকারে তা নয়—. তার ভাষার অকুষ্ঠিত তেজটা সহজ ; সহজেই সে ভাষা অশ্লীল হয় না যদি সে ভদ্রঘরের মেয়ে হয়। সাহিত্যেও আয়ুর পর্বে পর্বে বয়ঃসন্ধি ঘটে । যদি সত্যই ঘটে তাহলে সেটাকে নিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে গলা চড়াবার দরকার হয় না— দাবি বুঝে দরজি এসে আপনিই মাপের এবং ছাটকাটের বদল করে থাকে । অামাদের সাহিত্যে সেই আন্তরিক পরিণতি স্বভাবত ঘটে নি। প্রকাশে নতুনত্ব হওয়া উচিত এই ব্যগ্রতা মনকে অস্থির করেছে। নকল নতুনত্ব দেখলেই চিনতে পারি কোন দোকান থেকে তার আমদানি । কেননা যে সব স্বকীয় রীতি বা মুদ্রাভঙ্গী ব্যক্তিবিশেষে স্বাভাবিক তারও অনুকরণ দেখলে বোঝা যায় এটা আধুনিকতার রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের সাজ। এক বয়সে মোলায়েম মুখে গোঁফ ওঠাবার জন্যে কিশোরদের অধৈর্য দেখা যায় এও তেমনি । এ ক্ষেত্রে এই উপদেশ মানতে হবে যে, আর কিছু দিন অপেক্ষা করলে গোফ আপনিই উঠবে। যদি প্রকৃতির বিশেষ খেয়ালে গোফ २ ¢¢