পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুধীন্দ্র নানা বিষয়েই পড়াশুনো করেছেন কিন্তু কোনো বিশেষ বিষয়ে তার মন জমাট বেঁধে যায় নি। জ্ঞানের ও ভাবের রাজ্যে উনি যাযাবর। ওঁর সঙ্গে আমার তহবিলের তুলনা হয় না কিন্তু একটা জায়গায় মেলে সে ওঁর পথ-চলতি মন নিয়ে। যদি উনি শঙ্করাচার্য বা ব্যর্গস-র মতের দুরূহ ভিত্তিতে পাথরের স্থায়ী দেয়াল গেথে বসতেন, এমন কি ফ্রয়ডের মনোবিকলন-শাস্ত্রের সব কটা চারিত্রগ্রন্থির কুটিল তত্ত্ব পারিভাষিক সমেত মুখস্থ করে বৈজ্ঞানিক লাইসেন্স পাওয়া কুৎসাপ্রয়োগের যথেষ্ট দাবি করতে পারতেন, তাহলে মাথা হেঁট করে ওঁর পাশ কাটিয়ে চলতুম। র্যাদের বচনে ও ব্যবহারে আছে সবজানার স্বগোচর বা অগোচর ঔদ্ধত্য র্তাদের পাণ্ডিত্যকে বরাবর ভয় করে এসেছি, অধিকাংশ সময় অন্ধ শ্রদ্ধা করেছি। কিন্তু আপন লোক বলে মেনেছি মাননিক পথের পথিকদের, দুর্গম যাত্রী হলেও । ভ্রমণের শখ ভ্রমণকারীর সংসর্গে অনেকখানি মেটে । স্বগত বইখানির অনেকটা অংশের আলোচনা যথা নিয়মে করতে পারি নে। কেননা সুধীন্দ্র র্তার লেখায় যে সব বিদেশী লেখকদের উল্লেখ করেছেন তাদের অধিকাংশের বই আমি পড়ি নি। সেটা আমার শরীরের ক্লান্তিতে, কাজের ব্যস্ততায় । প্রথম বয়সে যখন ইংরেজি সাহিত্যের রসসত্রে প্রবেশ পেলুম তখন মেতে ছিলুম দিনরাত্রি। সেই ব্যগ্রতার চাঞ্চল্যে মনের স্থষ্টি চলেছিল এগিয়ে। বিষয়বস্তু যা পেয়েছিলুম তার চেয়ে বেশি করে নাড়া দিয়েছিল চিত্তের মন্থনবেগ। ক্রমে সেটা S どか○