পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 9२ [ ৬ মে ১৯৩৯ ] কল্যাণীয়েৰু পুরীতে এসেছি, সে খবর পূর্বেই পেয়েছ। উড়িষ্যায় যারা নতুন রাষ্ট্রনায়ক আমি তাদের নিমন্ত্রিত অতিথি। ব্যাপারটার মধ্যে নূতনত্ব আছে। সেকালে র্যার রাজা বা রাষ্ট্ৰাধ্যক্ষ ছিলেন গুণীদের সমাদরের দ্বারা তারা নিজের দেশকে, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সমাদৃত করতেন, এই দাক্ষিণ্যে সমস্ত মানবসংস্কৃতির সঙ্গে তারা যোগ রক্ষা করতেন, স্বীকার করতেন মানব-চিত্তোৎকর্ষে সর্বজনীন উত্তরাধিকার । আমরা ইংরেজদের কাছ থেকে পেয়েছি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবহার । এই ব্যবহারের মধ্যে গুণীদের কোনো স্থান নেই। অর্থনীতি দগুনীতির পরিধিতে যে শক্তির প্রতিষ্ঠা শক্তির সেই বাহরূপটাকেই যুরোপীয় রাষ্ট্রনেতার চালনা করে থাকেন, তার গভীরে আছে যে চিৎশক্তি তাকে চালনা করবার অধিকার রাষ্ট্রকর্তাদের থাকতে পারে না কিন্তু তাকে স্বীকার ক’রে সম্মান ক’রে রাষ্ট্রমঞ্চকে মহৎ পরিবেষ্টনী দিতে পারে। এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্ক অনাবশ্যক কিন্তু এইটেই লক্ষ্যের বিষয় যে প্রাচ্য রাষ্ট্রব্যবহারে নম্রভাবে আপন গুণজ্ঞতার গৌরব প্রকাশ উপেক্ষিত হয় নি। পারস্তে তুমি আমার ভ্রমণসঙ্গী ছিলে । সেখানকার রাজা বহুব্যয়ে আমাকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমি আতিথ্য পেয়েছিলুম সমস্ত পারস্যদেশের। সে কথা তুমি ২৩৮