পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংলণ্ড ও ফ্রান্সের মাভৈঃ বাণীতে আশ্বস্ত চেকোশ্লোভাকিয়াকে নাজি নখদন্তে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হতে দেখেও অনায়াসে লজ্জা সম্বরণ করলেন। তবু তার পররাষ্ট্রনীতিতে যে ইংলণ্ড পূর্বে ও পশ্চিমে অপমানিত, সে তো তাকে ও তার দলবলকে সমূলে উৎখাত করবার চেষ্টায় ক্ষেপে ওঠে নি। আত্মসংবরণ করে সকল মতের সকল দলের লোক আজ আশু বিপত্তির সদ্য প্রতিকারের চেষ্টায় সংহত করচে দেশের সমস্ত শক্তি । দীর্ঘকাল ধরে রাষ্ট্রক দায়িত্ব সাধনের শিক্ষায় যাদের চরিত্র বলিষ্ঠ হয়ে ওঠেনি তারা এই ক্ষুব্ধ অবস্থায় পরস্পরের প্রতি তীব্র স্বরে দোষারোপ করে কলহ করতে করতে দেশের কর্তব্যবুদ্ধিকে ভেঙেচুরে বিক্ষিপ্ত করে দিত। ওরা কাজকে সফল করবার জন্যে ভুলতে জানে, রফ নিস্পত্তি করতে পারে, তর্ক বিতর্ক থামিয়ে দিয়ে কোমর বাধতে একমুহূর্তে প্রস্তুত হয়। আজ আমরা স্বারাজ্যের আংশিক অধিকার পেয়েছি, এই অধিকারকে ক্রমশ প্রশস্ত করে পরিপূর্ণতায় হয়তো নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হবে না। কিন্তু সে জন্যে আবশ্যক সৃষ্টি করবার শক্তিচালনা। যে শক্তিতে আছে ধৈর্য, আছে পরিণত বুদ্ধির গাম্ভীর্য, এবং অবিচলিত শ্রদ্ধার সঙ্গে লক্ষ্য বিষয়ের সম্মান রক্ষার প্রতি গভীর দরদ। মূল্যবান সম্পদকে স্বষ্টি করে তোলার একান্ত উদ্যমে যারা অভ্যস্ত নয় দেশের শুভগ্রহের সেই সকল ত্যাজ্যপুত্রেরা গোড়া থেকেই ছোটো বড়ো সকল বিষয়েই আপন শক্তি প্রকাশ করতে চায় ভেঙে ফেলবার আস্ফালনে। বালোচিত আবদারগ্রস্ত তাদের মনোবৃত্তি, অতি >)齢〉bア ২৭৩