পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকেই সঞ্চারিত করতে হবে। বাইরে থেকে কাটাছেড়া করে নয় । ইতিপূর্বে কনগ্রেসনামধারী যে প্রতিষ্ঠান ভারতবর্ষে আন্দোলন জাগিয়েছিল তার কথা তো জানা আছে । তার আন্দোলন ছিল বাইরের দিকে । দেশের জনগণের অন্তরের দিকে সে তাকায় নি, তাকে জাগায় নি, স্বদেশের পরিত্রাণের জন্যে সে করুণ দৃষ্টিতে পথ তাকিয়ে ছিল বাইরেকার উপরওয়ালার দিকে। পরবশতার ধাত্ৰীক্রোড়েই তার স্বাধীনতা আশ্রয় নিয়ে আছে এই স্বপ্ন তার কিছুতে ভাঙতে চায় নি। সেদিনকার হাতজোড়-করা দোহাই-পাড়া মুক্তি-ফৌজের চিত্তদৈন্তকে বার বার ধিক্কার দিয়েছি সে তুমি জানো। হঠাৎ সেই তামসিকতার মধ্যে দেশের সুপ্ত প্রাণে কে ছুইয়ে দিলে সোনার কাঠি, জাগিয়ে দিলে একমাত্র আত্মশক্তির প্রতি ভরসাকে, প্রচার করলে অহিংস্ৰ সাধনাকেই নিভাক বীরের সাধনারূপে । নব জীবনের তপস্যার সেই প্রথম পর্ব আজো সম্পূর্ণ হয় নি, আজো এ রয়েছে তারি হাতে যিনি একে প্রবর্তিত করেছেন। শিবের তপোর্ভূমিতে নন্দী দাড়িয়েছিলেন ওষ্ঠাধরে তর্জনী তুলে, কেননা তপস্যা তখনো শেষ হয় নি, বাইরের অভিঘাতে তাকে ভাঙতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। এই তো গেল এক পক্ষের কথা, অপর পক্ষের সম্বন্ধেও ভাবনার কারণ প্রবল হয়ে উঠেছে। কনগ্রেস যতদিন আপন পরিণতির আরম্ভ-যুগে ছিল, তত দিন ভিতরের দিক থেকে তার আশঙ্কার বিষয় অল্পই ছিল। এখন সে প্রভূত &bre