পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তি ও খ্যাতি সঞ্চয় করেছে, শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্বীকার করে নিয়েছে সমস্ত পৃথিবী। সে কালের কনগ্রেস যে রাজদরবারের রুদ্ধ দ্বারে বৃথা মাথা খোড়াখুড়ি করে মরত আজ সেই দরবারে তার সম্মান অবারিত, এমন কি সেই দরবার কনগ্রেসের সঙ্গে আপোষ করতে কুষ্ঠা বোধ করে না। কিন্তু মনু বলেছেন সম্মানকে বিষের মতো জানবে। পৃথিবীতে যে দেশেই যে কোনো বিভাগেই ক্ষমতা অতিপ্রভূত হয়ে সঞ্চিত হয়ে ওঠে সেখানেই সে ভিতরে ভিতরে নিজের মারণ-বিষ উদ্ভাবিত করে। ইম্পিরিয়ালিজম বলো ফাসিজম বলে অন্তরে অস্তরে নিজের বিনাশ নিজেই স্থষ্টি করে চলেছে। কনগ্রেসেরও অন্তঃসঞ্চিত ক্ষমতার তাপ হয়তো তার অস্বাস্থ্যের কারণ হয়ে উঠেছে বলে সন্দেহ করি। র্যারা এর কেন্দ্রস্থলে এই শক্তিকে বিশিষ্ট ভাবে অধিকার করে আছেন, সঙ্কটের সময় তাদের ধৈর্যচ্যুতি হয়েছে, বিচারবুদ্ধি সোজা পথে চলে নি। পরস্পরের প্রতি যে শ্রদ্ধা ও সৌজন্য, যে বৈধতা রক্ষা করলে যথার্থ ভাবে কনগ্রেসের বল ও সম্মান রক্ষা হোত তার ব্যভিচার ঘটতে দেখা গেছে ; এই ব্যবহার-বিকৃতির মূলে আছে শক্তিস্পৰ্দ্ধার প্রভাব । খৃষ্টান-শাস্ত্রে বলে স্ফীতকায়া সম্পদের পক্ষে স্বর্গরাজ্যের প্রবেশপথ সঙ্কীর্ণ। কেননা ধনাভিমানী ক্ষমতা আনে তামসিকতা । কনগ্রেস আজ বিপুল সম্মানের ধনে ধনী, এতে তার স্বৰ্গরাজ্যের পথ করছে বন্ধুর। মুক্তির সাধনা তপস্যার সাধনা । সেই তপস্যা সাত্ত্বিক, এই জানি মহাত্মার উপদেশ। কিন্তু এই তপঃক্ষেত্রে র্যারা রক্ষকরূপে একত্র ૨b*છે