পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রকম সংশয়কে আলোড়িত হতে দেওয়া মনোবিকারের লক্ষণ । তুর্ভাগ্যক্রমে দেশে মিলনকেন্দ্ররূপে কনগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হওয়া সত্ত্বেও ভারতবর্ষে এক প্রদেশের সঙ্গে আর এক প্রদেশের বিচ্ছেদের সাংঘাতিক লক্ষণ নানা আকারেই থেকে থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। ভারতবর্ষে হিন্দু ও মুসলমানের অনৈক্য শোচনীয় এবং ভয়াবহ সে কথা বলা বাহুল্য। যে বিচ্ছেদের বাহন স্বয়ং ধর্মমত তার মতো দুর্লঙ্ঘ্য আর কিছু হ’তে পারে না । কিন্তু এক প্রদেশের সঙ্গে আর এক প্রদেশের যে আত্মীয়বুদ্ধির ক্ষীণতা তার কারণ পরস্পরের মধ্যে পরিচয়ের অভাব ও আচারের পার্থক্য। এই দুর্ভাগ্য ভারতবর্ষে আচার ও ধর্ম এক সিংহাসনের সরিক হয়ে মানুষের বুদ্ধিকে আবিল করে রেখেছে। যে-দেশের আচার অন্ধ জিদওয়ালা নয়, যে-দেশের ধর্মভেদ সামাজিক জীবনকে খণ্ড খণ্ড করে নি সেই দেশে রাষ্ট্রক ঐক্য স্বতই সম্ভবপর হয়েছে। আমাদের দেশে কনগ্রেস সেই সাধারণ সামাজিক ঐক্যের ভিতর থেকে আপনি সজীব ভাবে বেড়ে ওঠে নি। তাকে স্থাপন করা হয়েছে এমন একটা সামাজিক অনৈক্যের উপরে, যে অনৈক্য প্রত্যেক পাচদশ ক্রোশ অন্তর অতলস্পর্শ গর্ত খুড়ে রেখেছে এবং সেই গর্তগুলোকে দিনরাত আগলে রয়েছে ধর্মনামধারী রক্ষক দল । কারণ যাই হোক প্রদেশে প্রদেশে জোড় মেলে নি । মনে পড়ছে আমার কোন এক লেখায় ছিল, যে-জীর্ণ গাড়ির চাকাগুলো বিশ্লিষ্ট, মড়মড় ঢলঢল করে যার কোচবাক্স, २b~७