পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জোয়ালটা খসে পড়বার মুখে, তাকে যতক্ষণ দড়ি দিয়ে বেঁধেসেঁধে আস্তাবলে রাখা হয় ততক্ষণ তার অংশ-প্রত্যংশের মধ্যে ঐক্য কল্পনা করে সন্তোষ প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু যেই ঘোড়া জুতে তাকে রাস্তায় বের করা হয় আমনি তার আত্মবিদ্রোহ মুখর হয়ে ওঠে। ভারতবর্ষের মুক্তিযাত্রাপথের রথখানাকে আজ কনগ্রেস টেনে রাস্তায় বের করেছে। পলিটিক্সের দড়ি-বাধা অবস্থায় চলতে যখন সুরু করলে তখন বারে বারে দেখা গেল তার এক অংশের সঙ্গে আর এক অংশের আত্মীয়তার মিল নেই। অবস্থাটা যখন এমন তখন কংগ্রেসকর্তৃপক্ষদের অত্যন্ত সতর্ক হয়ে চলা কর্তব্য । কেননা সন্দিগ্ধ মন সকল প্রকার আঘাত ও অবৈধতাকে অতিমাত্র করে তোলে। তাই ঘটেছে আজ। সমস্ত বাংলা দেশের সঙ্গে কনগ্রেসের বন্ধনে টান পড়েছে ছেড়বার মুখে। এর অত্যাবশ্বকতা ছিল না। সমগ্র একটা বড়ো প্রদেশের এ রকম মনশ্চাঞ্চল্যের অবস্থায় বাংলা দেশের নেতাদের ঠিক পথে চলা দুঃসাধ্য হবে। বুঝতে পারছি স্বদেশকে স্বাতন্ত্র্যদানের উদ্দেশ্যে মহাত্মাজীর মনে একটা বিশেষ সংকল্প বাধা রয়েছে। মনে মনে তার পথের একটা ম্যাপ তিনি একে রেখেছেন। অতএব পাছে কোনো বিপরীত মতবাদের অভিঘাতে র্তার সংকল্পকে ক্ষুন্ন করে এ আশঙ্কা তার মনে থাকা স্বাভাবিক। তিনিই দেশকে এতদিন এত দূর পর্যন্ত নানা প্রমাদের মধ্য দিয়েও চালনা করে এনেছেন ; সেই চালনার ব্যবস্থাকে শিথিল হতে দিতে যদি રોઝ8