পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমন কি পাশব শক্তির রীতিমতো ধাক্কা খেলে তারা আপনাকে সামলাতে পারে না, ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পৃথিবীতে আজ যে-সব জাতি যে কোনো রকম লড়াই চালাচ্ছে তাদের সকলেরই জোর সর্বজনীন জনশিক্ষায়। বর্তমান যুগ শিক্ষিত বুদ্ধির যুগ, স্পর্ধিত মাংসপেশীর যুগ নয়। জাপানের তো কথাই নেই— বড়ো বড়ো অন্য সকল প্রাচ্য জাতিই সর্বত্র জনশিক্ষাসত্র খুলেছেন। আজকের দিনে আমরা দেশের বহু কোটি চোখ-বাধা মোহের বাহন নিয়ে এগোতে পারব না। মহাত্মাজী অসহযোগ আন্দোলন স্থগিত রেখে জনশিক্ষায় মন দিয়েছেন। বোধ করি প্রমাণ পেয়েছেন ভিড় জমিয়ে অসহযোগ দেখতে দেখতে অসহ্য হয়ে ওঠে। আজকের দিনে কোন জননায়ক পলিটিক্সকে কোন পথে নিয়ে যাবেন তা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে । মনে নানা সংশয় জাগে, স্পষ্ট বুঝতে পারি নে এ সকল পথযাত্রার পরিণাম । কিন্তু নিশ্চিত বিচার করা আমার পক্ষে কঠিন ; আমি পলিটিকসে প্রবীণ নই। এ কথা জানি যারা শক্তিশালী র্তারা নতুন পথে অসাধ্য সাধন করে থাকেন। মহাত্মাজীই তার প্রমাণ। তবু তার স্বীকৃত সকল অধ্যবসায়ই চরমত লাভ করবে এমন কথা শ্রদ্ধেয় নয়। অন্য কোনো কৰ্মবীরের মনে নতুন সাধনার প্রেরণা যদি জাগে তাহলে দোহাই পাড়লেও সে বীর হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। সে জন্য হয়ত অভ্যস্ত পথে যুথভ্রষ্ট হয়ে অনভ্যস্ত পথে তাকে দল বাধতে হবে, সে দলের সম্পূর্ণ পরিচয় পেতে ও তাকে আয়ত্ত করতে > S >> ૨bજ