পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঝে মাঝে তোমাকে কিছু কিছু লেখবার জন্যে মন উৎসুক হয়েছে, ঘটে ওঠেনি। মনের দিবালোকের উপরে একটা কুয়াশা নেমেছে, সে একটা বিস্মরণের আচ্ছাদন। মৃত্যুর প্রক্রিয়৷ আরম্ভ হয় মৃত্যুর অনেক পূর্ব থেকে, এই প্রক্রিয়াটা হচ্চে জীবনে অস্পষ্টতার বিস্তার ; অর্থাৎ রাত্রির ভূমিকা গোধূলিতে। এই অনিবার্যকে সহজে স্বীকার করে নেওয়া উচিত। মৃত্যুতে যেমন সঙ্কোচ নেই এতেও তেমনি সঙ্কোচের কারণ থাকা অসঙ্গত। সঙ্কোচ স্বভাবতই থাকত না মৃত্যুকে যদি শূন্তাত্মক পদাৰ্থ বলে মনে না করতুম, যদি তার সম্বন্ধেও দায়িত্ব আছে মনে করে তার জন্তে প্রস্তুত হবার একটা পালা থাকৃত জীবনযাত্রার শেষ পর্বাধ্যায়ে। মৃত্যুটাকে যদি পথের বিপরীত দিক থেকে একটা কলিশনের মতো আসতে দিই তাহলেই সেটা ঘটে তুর্ঘটনার মতো। বঁশিতে টর্মিনসের ইস্টেশনে আসবার ঘোষণ জানিয়ে এঞ্জিনের দম কমিয়ে দিয়ে লক্ষ্যটাকে যদি স্বীকার করে নিই তাহলে সেটা যথোচিত হয়। কিন্তু পুরোদমে চলবার দাবী এখনো আমার উপরে সম্পূর্ণ রয়েছে। দরকারী কাজের ভিড় বেড়ে উঠেছে বই কমে নি। যাকে আমরা "দরকার” আখ্যা দিয়েছি সেটা হচ্চে জীবনযাত্রার অধিকারে, তাকেই একান্ত বলে মানার মধ্যে আছে জীবনকেই একান্ত বলে স্বীকার করা। সেটা যে ভুল, দিনাবসানের বেলায় তার প্রমাণ আসে পদে পদে, তখন পুরাতনের সঙ্গে সম্বন্ধ চুকিয়ে দিয়ে সহজ মনে অদরকারের চর্চাটাই শোভন। কেননা মৃত্যুর পরে সত্তার যদি নূতন চাষের و (ج جة