পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালা থাকে তাহলে প্রস্তুত হবার জন্তে আগেকার ঋতুর শিকড় সমস্ত উপড়ে ফেলা চাই, ক্ষেতটাকে দরকারশূন্ত করতে পারলেই সেটা যথোচিত হবে। পুরো কাজের মাঝখানে হঠাৎ থেমে যাওয়াই ট্র্যাজিক। কিন্তু মৃত্যুকে কেন বলব ট্র্যাজেডি ; কেন বলব শেষ, কেন বলব না নূতন আরম্ভ ? নূতন আরম্ভের সূচনাস্বরূপেই আসে পুরাতনের শেষ। সেই শেষই হচ্চে কাটাশস্তের শূন্ত ক্ষেত, পাগলাহাতির পায়ে দল ফসল ক্ষেত নয়। কাটা শস্যের ক্ষেতেই সফলতার অাশা বিরাজ করে, হঠাৎ দলাশস্যের ক্ষেতেই হাহুতাশ । তর্ক ওঠে মৃত্যু যে শেষ নয় তার কোনো প্রমাণ নেই। আমি যে রবিঠাকুর তার লেশমাত্র প্রমাণ ছিল না রবিঠাকুর আসবার আগে, কেননা রবিঠাকুর তখন একেবারেই ছিল না। যা হয় তা আপনার প্রমাণ আপনি নিয়ে আসে হওয়ার দ্বারাই । তর্ক করে কোনো লাভ নেই— মনের মধ্যে একটা প্রেরণা এই আসে যে, আলো যখন কমে আসচে তখন আপিসের বাইরেকার ডাক শুনে খাতাপত্র বন্ধ করাই ভালো, আলো কমার অর্থ টাকে ছুটির পরবর্তী কোনো একটা পুর্ণতার দিকেই স্বীকার করে নেওয়া যাক শূন্যতার দিকে নয়। যাই হোক কাজের ভিড় জোর করে ঠেলে নিয়ে চলাটাই আজকাল আমার নিরর্থক বলে মনে হয়— দেহমন তার প্রতিবাদ করচে। কর্তব্যের পূর্বাভ্যাস এখনো ক্ষীণহাতে লগি ঠেলচে– মন বলচে লগি ফেলে দিয়ে স্রোতে ভাসান দেওয়াই তীর্থযাত্রার শেষ পথ । কিন্তু বর্তমান যুগটা কর্মের যুগ, এ যুগ মৃত্যুকে শূন্ত বলে জানে, રે જે ૧