পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে দিতে— দেখলুম মুনিক প্যাক্টে নতশিরে হিটলরের কাছে একটা অর্থহীন সই সংগ্রহ করে অপরিমিত আনন্দ প্রকাশ করতে। নিজের সম্মান খুইয়ে এবং ইমান রক্ষা করতে উপেক্ষ করে মুনফ তো কিছুই হোলো না— পদে পদে শক্রর হস্তকে বলিষ্ঠ করে তুলে আজ নামতে হোলে দারুণ যুদ্ধে। এই যুদ্ধে ইংলণ্ড ফ্রান্স জয়ী হোক একান্ত মনে এই কামন করি। কেননা মানব-ইতিহাসে ফ্যাসিজমের নাৎসিজমের কলঙ্ক প্রলেপ অার সহ হয় না। কিন্তু সবচেয়ে বেদন পাই চীনের জন্তে, কেননা সাম্রাজ্যিকদের অফুরন্ত অর্থ আছে সামর্থ্য আছে আর সহায়শূন্ত চীন লড়চে প্রায় শূন্ত হাতে, কেবল তার নিভাঁকবীর্যে ভর করে। কিন্তু ভেবে দেখো ঐতিহাসিক বিপ্লবে কবির আলটিমেটম্ আমি ইতিপূর্বেই দিয়ে দিয়েছি— সদ্য তার সাড়া পাওয়া যাবে না— তার মেয়াদের শেষ তারিখ হয়তো বহুশতাব্দী পরে। কবি ঘোষণা করেছে :– স্বার্থ যত পূর্ণ হয় লোভ ক্ষুধানল তত তার বেড়ে ওঠে,– বিশ্বধরাতল আপনার খাদ্যবলি না করি বিচার জঠরে পুরিতে চায়। বীভৎস আহার বীভৎস ক্ষুধারে করে নির্দয় নিলাজ তখন গর্জিয়া নামে রুদ্র, তব বাজ । কবি একদা বলেছে :– ওরে ভাই, কার নিন্দ করো তুমি, মাথা করে নত,— > S२ ० \S) e &