পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালাবার অধিকারও তাদের নেই, চারদিকে বেড়া দেওয়া । তারা মৃগয়াজীবী রাজন্যের রিজার্ভ ফরেস্টে বাস করে। মনে পড়ছে একটা গল্প শুনেছিলুম কোনো একজন বিশ্বাসপরায়ণ ভলটেয়রকে জিজ্ঞাসা করেছিল, পালকে পাল ভেড়ার দলকে মন্ত্র পড়ে কি মারা যায় ? তিনি জবাব দিয়েছিলেন, মাডাম, নিশ্চয়ই যায়, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আর্সেনিক চাই । এই আর্সেনিক প্রয়োগের মারাত্মক আয়োজন আজ বিশ্ব জুড়ে এমন পরিব্যাপ্ত যে, যারা মরছে আর যারা মারছে এই দুই পক্ষের কারো চোখে আর কোনো রাস্তাই পড়ছে না । বলিদানের রক্তে দেবতাকে তৃপ্ত করবার হিংস্র পূজাবিধি মানুষের বর্বর অবস্থা থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে। মাঝে মাঝে কোনো কোনো উপদেষ্টা বলেছেন : একমাত্র প্রেমের দ্বারাই এই পূজা সার্থক হতে পারে। শুনে মানুষের মনে হয়েছে কথাটা পারমার্থিক ভাবে সত্য, ব্যাবহারিক ভাবে নয়। অর্থাৎ জীবনের যে বিভাগে আশু ফললাভকে উপেক্ষা করা যেতে পারে সেই বিভাগেই তার মূল্য আছে কিন্তু ফললাভ যেখানে লক্ষ্য সেখানে দেবতার প্রসন্নতা পাবার জন্য চাই বলির রক্ত । এর মূল মনস্তত্ত্ব হচ্ছে এই যে তীব্র কটুম্বাদ ওষুধের পরেই রোগীর বিশ্বাস সম্পূর্ণ নির্ভর করবার জোর পায়, সন্দেহ থাকে না এটা ওষুধের মতো ওষুধ বটে। তাই আজ বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রীয় দাওয়াইখানায় ঝাঝালো ওষুধের আমদানি বেড়েই চলেছে । শক্তিলাভের টনিক রক্তবর্ণ শক্তির উৎকট রঞ্জনে প্রকটিত । কথায় বলে সহস্ৰমারী চিকিৎসকঃ, বিস্তর মরতে 4 נס\