পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলেছে। কেউ কোথাও থামতে পারছে না পাছে আর কেউ এগিয়ে যায়। ১৯৩০ খৃষ্টশতকে গিয়েছিলুম জর্মনিতে। জেতা যে নিশ্চিত জিতেছে এই কথাটাকে সে নানারকমে দেগে দিচ্ছিল বিজিতের মনে । চিরস্থায়ী কালো কালিতে অপমানকে একে দিচ্ছিল ঐতিহাসিক স্মৃতিপটে । বিজিত দেশগুলির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এমন করে বিভক্ত বিচ্ছিন্ন করছিল যাতে তাদের পঙ্গুতা অবিস্মরণীয় হয়। রাষ্ট্রস্বাৰ্থবৃদ্ধির পক্ষে এমন মূঢ়তা আর কিছু হ’তে পারে না। কিন্তু হিংস্ৰ শক্তির এইটে প্রকৃতিসিদ্ধ ; অহংকারকে সে সম্ভোগ করতে চায়। ক্ষমাহীন প্রতিহিংসুক নীতি তার সুবিচার এবং শ্রেয়োবুদ্ধিকে অন্ধ ক’রে দেয়। দেখা গেল জয়ের দ্বারা হিংস্রতার উষ্মা শান্ত হয় না, উত্তরোত্তর তার উদগ্রত রাঙিয়ে উঠতে থাকে। তখন জর্মনির তরুণসম্প্রদায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল, আমার সমস্ত মন আকৃষ্ট হয়েছিল তাদের দিকে । তারা তখন স্বজাতির ভবিষ্যৎকে একটা মহৎ সফলতার দিকে নিয়ে যাবে সংকল্প করেছিল । তার মধ্যে ক্রোধ ছিল না, দ্বেষ ছিল না, ছিল নূতন স্থষ্টির আবেগ। বর্বরতার উপরে সভ্যতার জয়লাভ নির্ভর করে এই সফলতার পরে । কিন্তু হিংস্ৰ শক্তিই বর্বর। সার্থকতার পথ থেকে মানুষকে সে করে ভ্রষ্ট, মানুষের মনুষ্যত্বকে অপমানিত করায় তার আনন্দ । সেই তো খোচা দিয়ে দিয়ে তরুণ জর্মনিকে অবশেষে হিংস্ৰ ক’রে তুললে, তাকে বর্বরতার পথে টেনে নিলে। য়ুরোপের মাঝখানে হিংস্ৰ শক্তির প্রকাণ্ড \つ〉b"