পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সস্তান ব’লেই। র্তার মতে গণতন্ত্রের মধ্যে ঐশ্বরিক বিধানের যে একটি ঐক্যনীতি আছে সংকটের দিনে সকলপ্রকার বাহ তাড়নার চেয়ে সেইটেই আমাদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। রাষ্ট্রঘটিত আলোচনার সঙ্গে রাষ্ট্রনেতারা ঐশ্বরিক বিধানের একত্রে উল্লেখ প্রায় করেন না। কেননা ঐশ্বরিক বিধানকে যদি মানতে হয় তাহলে দেশে কালে তাকে বিশ্বভূমিকার উপরে স্থাপিত করা চাই। ব্রিটনের রাষ্ট্রনীতি যদি জগদীশ্বরের ইচ্ছানুকূল ধর্মনীতির অন্তর্গত হয় তা হলে সেই নীতির মধ্যে কেবল ইংরেজের নয় আমাদেরও সমান স্থান আছে। আমরাও মানুষ, আমরাও ঈশ্বরের সন্তান, সুতরাং আমাদেরও মানবমর্যাদা, আমাদেরও ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য ধর্মনীতির ক্ষেত্রে সম্মানের যোগ্য। রাষ্ট্রনৈতিক ব্যবহারে তাকে যদি অস্বীকার করা হয় তা হলে সমষ্টিতন্ত্রীয় রাষ্ট্রনীতিকে অন্তত ঈশ্বরের নাম ধরে নিন্দ করা উচিত হয় না। রাষ্ট্রিক ইচ্ছার প্রভাবকে স্বরাষ্ট্রের সীমায় সংকীর্ণ করে দেখবার প্রথা চলে আসছে কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রভাবকে সেই সীমার মধ্যেই একান্ত ক’রে দেখা তো চলে না। আর্ল বলডউইন তাদের আইডিয়াল To qGICER “These ideals require men of their own free will to co-operate with God himself in the raising of mankind”. Coxiestfos of totaa মধ্যে মৈত্রীর প্রাধান্তই প্রবল সেখানে মানুষের উৎকর্ষসাধনের জন্তে ঈশ্বরের সহযোগিতার কথা স্বভাবতই মনে আসে কিন্তু পরজাতীয় অধিকারে যেখানে শক্তির শাসনতন্ত্রই ૭ ર ૨