পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনকে সেই ব্যথার কালের বাইরে যেতে বাধা দেয়— সেই ব্যথা বৰ্ত্তমানের খুটির সঙ্গে আমাদের জোর করে বেঁধে রাখে। সেই হচ্চে দারিদ্র্য যা উপস্থিতের ভাবনা দিয়ে আমাদের ঘিরে রাখে, ভবিষ্যতের দিকে যার আশার জানলা খোলা নেই। সেই হচ্চে অকিঞ্চন, কালের ক্ষেত্রে যার ঘরমাত্র অাছে কিন্তু আঙিনা নেই। আধুনিক ভারতবর্ষের লোক অতি ক্ষুদ্র বর্তমানের প্রাচীরের মধ্যে আবদ্ধ। তার দীনতা এত বেশি যে বর্তমানের সব দাবীও সে পুরাপুরি মেটাতে পারচে না। সম্পূর্ণ নিজের সামর্থ্যে তার দিন চলচেন, ঋণের প্রত্যাশায় সে ধনীর দ্বারে ধন্ন দিয়ে বসে আছে। কিন্তু যার বর্তমানের সম্বল স্বল্প সে আপনার ভবিষ্যৎকে বাধা দিয়ে তবে ঋণ পায়— আমরা যতই পরের কাছে হাত পাতছি ততই নিজের ভবিষ্যৎকেই বিকিয়ে দিচ্চি। আমাদের বর্তমান সঙ্কীর্ণ, আমাদের সম্মুখে ভাবীকাল বাধাগ্রস্ত, এইজন্যেই আমাদের মন বড় করে ভাবতে পারচেনা, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করচে । তুমি তোমার কলেজের ছাত্রদের কলুষ সম্বন্ধে যা লিখেচ তার কারণ হচ্চে মন যখন মুক্তির আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় তখন সে পাপের উত্তেজনা থেকে তৃপ্তিলাভ করতে চেষ্টা করে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাছ থেকে শুনেচি যে আমাদের উচ্চশ্রেণীর ছাত্রেরা তাদের সতীর্থ ছাত্রীদের অপমানিত করবার জন্তে ক্লাসের বোর্ডে অতি কুৎসিত কথা লিখে রাখে । এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে সকল পরিবার २२