পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S२३ ২• জুন ১৯৪ • \ર્કે কল্যাণীয়েষ্ণু অমিয়, কয়েক শতাব্দী পূর্বে যুরোপীয় সভ্যতা হঠাৎ সদাগরী শাবক প্রসব করতে সুরু করেছিল। তারা খাবার সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে লাগল আমাদের এসিয়া আফ্রিকার পাড়ায়, ওদের মধ্যে কেউ কেউ গিলেছিল মোটা মোটা পিণ্ড চর্ব্যচোষ্য লেহ নানাবিধ আকারে । এই ভোজের লোভনীয় মাংসগন্ধ পৌছচ্ছিল যুরোপীয় নাসারন্ধে। যে সব বঞ্চিত শাবকদের জিভে জল আসছিল অথচ মুখে গ্রাস জুটছিল না, তাদের জঠরানল ঠাণ্ডা ছিলনা। অবশেষে ভুক্ত অভুক্ত দুইপক্ষের মধ্যে লেগে গেছে কামড়াকামড়ি । একদা চলছিল শিকার এবং শিকারীর পালা, এবার সুরু হোলো শিকারী এবং শিকারীর পালা । যুরোপ-জননীর পক্ষে এটা শোকাবহ। আজ সে কাতর কণ্ঠে বলচে শান্তি চাই। কিন্তু শান্তি তো বাইরে থেকে আসে না ভিতরে তার উৎস। লুব্ধ অভ্যাসবশত অন্যদের না খেয়ে যাদের চলে না সেই মাংসাশীদের মধ্যে হনননীতি কিছুতেই থামতে পারে না । বহুদিন থেকে এদের কারো বা সামনের দিকে প্রকাশ্যে কারো বা কসের দিকে গোপনে দাতগুলো কী অস্বাভাবিক রকমে বেড়ে চলছিল আজকের দিনে বড় করে বদন ব্যাদান করতেই ভীষণভাবে সেটা প্রকাশ পেল । এটা যে না হলে নয়। শিকারকে চিবোতে যদি দাতের দরকার ○○>