পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয় তাহলে পাশের শিকারীকেও দাত খি চোবার জন্তে দাতের দরকার হবেই। আজকের হানাহানিতে যে জিতল কালকের আশঙ্কা নিবারণের জন্যে তাকে উঠে পড়ে বৈজ্ঞানিক ডেন্টিস্ট্রির চর্চা করতেই হবে। শ্বাপদ সভ্যতার শিক্ষামন্দিরে এই আত্মঘাত চর্চাই সবচেয়ে বড় হয়ে উঠতে বাধ্য। এই কামড়ের ঘূর্ণাচক্র অন্তহীন বেগে বাড়তেই থাকবে। আজ যারা কামড়ায় নি কামড় খেয়েছে তারা দায়ে পড়ে কালই কামড়বিদ্যার পাঠশালা খুলবে। য়ুরোপের উত্তর অংশে অনেকদিন অহিংস্র শান্তিকে আশ্রয় করে যথার্থ সভ্যতার মহৎরূপ বিরাজ করছিল আজ তারা ক্ষ্যাপাজন্তুর কামড় খেয়েছে, কাল তাদের ঠাণ্ডা রাখবে কীসে ? তাহলে এই বিরাট পশুশালার মধ্যে মানষের সন্ধান পাব কোথায় । ডারুয়িন বলেছেন বানরের অভিব্যক্তি মানুষে কিন্তু মানষের অভিব্যক্তি এ কোন জানোয়ারে। প্রাণীজগতের আদি যুগে বর্মে চর্মে ভারাক্রান্ত বিকট জন্তুর আস্ফালন করে পৃথিবীকে দলিত করেছিল তারা তো প্রাণলোকের অসহ্য হয়ে উঠল, টিকতে পারল না— সৃষ্টিবিভাগে সেই ব্যর্থ পরীক্ষার স্মৃতি এখনি কি লুপ্ত হয়েছে। আবার সেই বর্মের বোঝা বেড়ে উঠে মানবধর্মকে অস্তরে অস্তরে ফেলচে পিষে। মানবস্থষ্টির জন্তে যিনি দায়ী তিনি বলচেন, লজ্জা দিলে, এ চলবে না, এদের পিঠের থেকে বর্ম নামিয়ে নেওয়া গেল মনের মধ্যে সেটা ঢুকে সর্বনেশে হয়ে উঠল, এ তো বাচবার লক্ষণ নয়। প্রাচীন ডাইনোসরদের সঞ্চরণক্ষেত্র আজকের দিনের যুদ্ধক্ষেত্রে, ७७ रे