পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>\9● ૨ જ জুন Σ & 8 ο હૈં কল্যাণীয়েষ্ণু এইমাত্র তোমার দ্বিতীয় চিঠি পেলেম । তোমাকে একটা চিঠি আজ সকালেই লিখেছি, কিন্তু তোমার চিঠির ঠিক উত্তর দেওয়া হয় নি। যেমন সমস্ত জীবাণুকোষ মিলে একদেহ, তেমনি প্রত্যেক মানুষকে মিলিয়ে এক মহামানব এ বিশ্বাস আমি পূর্বেই জানিয়েছি। দেহকোষের এক অংশে আঘাত লাগলে সব দেহই পীড়িত হয়। ঐক্যের অনিবার্য ধর্মই তাই । ঐক্যের বেদন র্যারা নিজেরই মধ্যে উপলব্ধি করেন তাদের আমরা মহাপুরুষ বলি। আমাদের ধারণার অতীত যে বিরাট মহাপুরুষে এই বোধ সম্পূর্ণ হয়ে আছে উপনিষদে তাকে বলেন সর্বানুভূঃ, তিনি সমস্তই অনুভব করেন। প্রত্যেকে র্তার মধ্যে, অথচ তিনি প্রত্যেকের অতীত। এইজন্যে তিনি নির্মমভাবে প্রত্যেককে বিচার করতে পারেন। তিনি বলতে পারেন সমগ্রের মধ্যে ভুল ঢুকেছে অতএব তাকে ত্যাগ করতে হবে । তিনি বলতে পারেন নতুন করে আরেক সমগ্র রচনা করা চাই। র্তার মধ্যে পরিপূর্ণতার একটা আদর্শ আছে– স্পষ্ট বুঝতে পারি প্রথম যুগের উদ্ভিদ পশুপক্ষী কী কুঞ্জ ছিল, অভিব্যক্তির তপস্যায় সমস্তই একটা সুগ্ৰীতায় পেচচ্ছে। এই অভিব্যক্তি র্তারই আত্মোপলব্ধির সোপানপরম্পরা। দেখচি এতে স্থলন ঘটে, ছন্দ মেলে না ওজনের \○○8