পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সংকলন গ্রন্থে এখনো অনেক কবিতা দেখলুম যাতে কালশিল্পী বিকৃতিকে নূতনত্ব বলে স্পৰ্দ্ধা করেছে। বিকৃতি তার অস্বাভাবিকতা দ্বারা চমক লাগায়— যে জন্ত্যে আপন পোষা জীব জন্তুর মধ্যে ইচ্ছা ক’রে মানুষ বিরূপের সন্ধান করে। অস্বাভাবিক আকস্মিক, স্বাভাবিক চিরকালের। অদ্ভূত এবং অপুর্বের মধ্যে যে প্রভেদ সে তো কবিরাই জানে। বিজ্ঞানীর কাছে দুইয়ের মূল্যই সমান। আমার সময় অত্যন্ত কম এবং শক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ । ইতি ২২৮৪০ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝে মাঝে তুমিও যে আমাকে হতবুদ্ধি করে নি তা বলতে পারি নে। যখন ধাধা লেগেছে তখন মনে হয়েছে আজকাল সাহিত্যে যেন গালিভার্স ট্র্যাভলসের লীলা, আমরা কোন পক্ষ কে এবং কী তার সংজ্ঞা নির্ণয় করে দেবে কে। এই ডিগবাজি খেলার মধ্যে যারা রস পায় তারা তো যা হোক একটা কিছু পায়, পায় না যারা তাদের চুপ করে থাকাই ভালো। সেই চুপ করে থাকাতেই কি হার, না সেইটেতেই সুবুদ্ধি ? অাধুনিককে যখন আমি অবিশ্বাস করি সেটা তার বাস্তবকে নয় তার অস্বাস্থ্য, এবং নিশ্চিত জানি অস্বাস্থ্যের পরিণাম হয় মৃত্যু নয় আরোগ্য। \98 e