পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবযুগের কাব্য উনিশ খ্রীস্টশতকে আধুনিক কালের পাঠশালায় আমরা পাশ্চাত্য সাহিত্যের যখন চেহারা দেখলুম তখন দেখা গেল তার রাস্তা পাকা করে বাধানো । সকল দেশের দিকে সে খোলা । সে পথে আমাদের মনের চলাফেরা বাধা পেল না । যে-সকল আনন্দতীর্থের দিকে তার নির্দেশ ছিল আমরা সহজেই তাকে আয়ত্ত করতে পেরেছিলুম। বড়ো বড়ো তীর্থযাত্রী র্যারা এই পথকে প্রশস্ত করতে করতে চলে গিয়েছিলেন র্তাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় অন্তরঙ্গ হয়েছিল। অবশেষে এমন বিপর্যয় যে হঠাৎ আসতে পারে যাতে করে সেই বিশ্বপথ ও যানবাহনের পরিবর্তনে আমরা একটা অপরিচয়ের তুর্গমে এসে পড়ব তা মনে করতে পারি নি । কিন্তু সেই সনাতনী সীমানার মধ্যে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার বদল যে লক্ষ্য করি নি তা নয় । ইংরেজি সাহিত্যে আলেকজাণ্ডার পোপ যে-ঋতুর বাহন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ সে-ঋতুর নন । এই বদল মনেরই বদলের অনুবতী। প্রাকৃত জগৎ এবং মানস জগতকে দুই যুগের কবিরা ভিন্ন চেহারায় দেখেছেন তাই ছন্দ ও ভাষা আপনিই বদলিয়েছে তার প্রকাশভঙ্গী । আমরা সেই অধুনাউপহসিত ভিক্টোরীয় যুগের সাহিত্যের দান গ্রহণ করেছি, দীক্ষা পেয়েছি তারই কাছ থেকে । সেই অনুসারে যা সুন্দর যা মহৎ তাকে সন্ধান করেছি বিশেষ ○○"