পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবে বিশেষ স্থানে, বিশেষ অনুষ্ঠানে তার জন্তে আসন পেতেছি । এমন সময় যুরোপে প্রকাণ্ড এক যুদ্ধে মস্ত একটা সামাজিক ভূমিকম্প ঘটল। বিশ্বের সঙ্গে মানুষের ব্যবহারের ভূমিকা যেন বদলে গেল। রূঢ় হ’ল ভাষা, যে-সকল আবরণের দ্বারা আচরণের প্রসাধন করা হত তার সম্বন্ধে একটা অসহিষ্ণুতা দেখা দিল । আজ পর্যন্ত প্রসাধনের দ্বারা মানুষ আপনার একটা পরিচয় নিজের চেষ্টায় রচনা করে এসেছে। নিজের নগ্নতার উপরে পরিয়েছে শিল্পের উত্তরীয়। অর্থাৎ মানুষের যে স্বরূপ প্রকৃতিদত্ত, তার উপরে সে স্থাপন করেছে নিজের রচনা। সে যা ইচ্ছা করে, সেটাকেও করেছে আপন প্রকাশের অঙ্গ । মানুষ স্বয়ং কী এবং মানুষ কী চায় এই দুইয়ে মিল করিয়ে তবেই মানুষ আপনাকে সম্পূর্ণ ব’লে জেনেছে ও জানিয়েছে। এইজন্যেই ইতিহাসে যারা মহাপুরুষ বলে গণ্য র্তারা কিছু পরিমাণে ঐতিহাসিক, আর অনেক পরিমাণে আমাদের ভাবের স্বষ্টি। পূজা করবার একান্ত প্রয়োজন আছে মানুষের, সেই প্রয়োজন ব্যস্ত হয়ে রয়েছে আপন শিল্প-উপকরণ নিয়ে । ভক্তিক্ষুধাতুর মানুষ ইতিহাসের বাস্তব মূর্তির উপরে রঙ চড়িয়ে আপনাকে ভুলিয়ে কত অনৈসর্গিক প্রতিমা বানাচ্ছে তার সংখ্যা নেই। শুধু পূজা করা নয়, রস-উপভোগের আকাঙ্ক্ষা মানুষের প্রবল। তাই তার উপভোগের বিষয়কে সে দোষমুক্ত স্বসংগতি দিয়ে রুচির অনুকুল করতে চায়। যে অন্ন তার NᏬ©b~