পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণরক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক, তাকে কেবলমাত্র আপন ক্ষুধা মেটাবার তাগিদে পশুর মতো যেমন তেমন করে মানুষ খেতে পারে না। যে-ফুধা প্রকৃতিদত্ত তার আশুনিবৃত্তি সংবরণ ক’রে মানুষ তার উপরে স্বরচিত শিল্পের শোভনতা বিস্তার করে। অল্পের সামনে নিজেকে একান্ত ক্ষুধিত ব’লে চাঞ্চল্য প্রকাশ করলে তার সম্পূর্ণ উপভোগের ব্যাঘাত ঘটে। মানুষের আদিম প্রবৃত্তির উপকরণকে অপরূপত দেবার জন্যে ভিন্ন ভিন্ন জাতির মানুষের মধ্যে উপভোগের যে আবরণ সৃষ্ট হয়েছে তারই শ্রেষ্ঠত বিচার ক’রে তার স্বাজাতিক সংস্কৃতির উৎকর্ষ বিচার হয়ে থাকে। যৌনবৃত্তি মানুষের একটি আদিম প্রবল প্রবৃত্তি সন্দেহ নেই, কিন্তু যে মানুষ সেই বৃত্তিকে দৈহিক ক্ষুধা মেটাবার ঐকান্তিক অসংযত পথে চালনা করে সে নিন্দনীয় হয় কেবল নীতির আদর্শ থেকে নয় উপভোগের উৎকর্ষ বিচারে। এই-সব আদিম প্রবৃত্তির মুখ্য ভাষাকে গৌণ ছন্দে ঢালাই ক’রে মানুষ তাকে অলংকৃত করে। বুভূক্ষাকে শরীরের শাসন থেকে নিয়ে আসে মনের রাজ্যে, কাম রাজবেশ ধরে প্রেমের, তবেই সে দিতে পারে পুরে আনন্দ, যা ক্ষুধাতৃপ্তির চেয়ে অনেক বেশি। । মানুষ আপনাকে এবং আপনার চার দিককে আদিকাল থেকেই বানিয়ে তুলছে আপন আনন্দলোক স্বষ্টির জন্যেই। এই বানিয়ে তোলা তার স্বধৰ্ম— সে সৃষ্টিকর্তা। যেটাকে বলা যেতে পারে কৃত্রিম সেটা থেকে তার স্বভাবেরই প্রমাণ হয় । পৃথিবীর আভ্যন্তরিক পাষাণ-প্রকৃতির উপরে মাটির স্তরের NᏬ©