পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবরণ প্রকাশ করেছে নানা বর্ণের নানা রসের ফুল ফল ফসল। এই স্তরে সে যে বিচিত্র রূপ নিয়েছে তা সর্বজনের। বসন্তে গিয়েছি চীনদেশে, বহু সমুদ্র পার হয়ে গেছি দক্ষিণআমেরিকায়। প্রত্যেক জায়গায় ফুলফলপল্লবের অাছে কিছু প্রভেদ, কিন্তু তার উপরে আছে সৌন্দর্যের সর্বজনীনতা । যেখানেই গেলুম বিশ্বপ্রকৃতিতে নানা আকারে একটা চিরপরিচয় দেখা দিল । সেটাই তার আবরণে। মানুষের মধ্যেও তাই, আতিথ্যের রূপভেদ, কিন্তু সমস্তটার মধ্যে যেখানে আছে সৌজন্যের সর্বজনীনতা সেখানে বিদেশের মধ্যেও স্বদেশকে পাওয়া যায়। বলা বাহুল্য সৌজন্তের এই আবরণ মানুষের আপন সৃষ্টি, এইখানেই আমরা সকলে মিলি, এই আবরণের মধ্য দিয়েই দূরকে কাছে পাওয়া যায়। বালক-বয়সেই ইংরেজি সাহিত্যের আঙিনায় যাওয়া-আসা শুরু করেছি। ভাষার আভিধানিক বেড়াটা যেমনি পার হয়েছি আমনি ওখানকার ফলের বাগান থেকে ফল পাড়বার আনন্দে বেলা কেটেছে। যেটুকু বাধা পেয়েছি তাতে ঠেকিয়ে রাখতে পারে নি বরঞ্চ ঔৎসুক্য বাড়িয়েছে। ইংরেজি সাহিত্যের পথে এই যে সর্বজনীনতার আহবান পেয়েছিলুম একে সমতলত বললে অসংগত হবে। এর মধ্যে বঁাকচোর উচুনিচু যথেষ্ট ছিল। লেখকদের মধ্যে ব্যক্তিগত বৈষম্যের অভাব ছিল না। কিন্তু রূঢ়ভাবে কোনো দেউড়ি থেকে কোনো দ্বারী ঠেকিয়ে রাখে নি । সেদিন গেল, এখন নতুন যুগ এসেছে। যে সাহিত্যে VOG e