পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলাফের অভ্যস্ত ছিল সেখানে হঠাৎ দেখি রাস্তা খুজে পাই নে। আমি বিদেশী ব’লেই যে অামাকে এই রকম ধাধা লাগিয়েছে তা নয়, আমার কোনো কোনো ইংরেজ বন্ধুকেও জিজ্ঞাসা ক’রে খবর পেয়েছি তাদের পক্ষেও এই আধুনিক কাব্য সহজবোধ্য নয়। একটা কথা কানে এল, এখনকার কবিতা অবচেতনতত্ত্বেপাওয়া কবিতা । অবচেতন মনের লীলা খাপছাড়া অসংলগ্ন । অর্থের সংগতি ঘটায় যে মন সে সেখানে অনেকখানি ছুটি নিয়েছে । এই অর্থের সংগতিতেই আনে সর্বজনীনতা, যেখানে এই সংগতিসূত্র ছিড়ে গেছে সেখানে প্রত্যেক মানুষের মন আপন প্রাইভেট পথের পাগলা পথিক। এখানকার রাস্তাঘাট নিয়ে গোলমাল ঠেকবার কথা । অথচ আর্ট যেহেতু সায়ান্স নয় সেইজন্যে তার মর্মকথাটার স্বাতন্ত্র্য ঐকান্তিক । তার থেকে আনন্দ পেতে হলে অত্যন্ত বিশেষ করে তার আপন দেউড়িতেই যেতে হবে। সায়ান্সের মতো কোনো সাধারণতত্ত্ব তার তত্ত্ব নয় । V কবি কিংবা আর্টিস্টের এই স্বাতন্ত্র্য, যাকে ইংরেজিতে বলে uniqueness, এর গভীর ভিত্তি অবচেতন মনে তাতে সন্দেহ নেই। ভিত্তি হতে পারে কিন্তু সমস্তটাই যদি নিছক অবচেতনার কীতি হয় তা হলে স্বপ্ন ছাড়া আর-কিছুই বাকি থাকে না । অবশ্য স্বপ্ন জিনিসটা যে একেবারে ধোওয়া, তা নয়, প্লাবনের মাঝে মাঝে এক-এক টুকরো খাপছাড়া ডাঙা উঠে צ9אס\