পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাস্তার ধূলিধূসর কবিতা, এ পরিচ্ছন্ন সভাগৃহের নয়। পড়ে দেখো খসড়ায় “চায়ের বেলা”। ছেড়া সুতোর শিল্প। দেখো “পুষ্পদৃষ্টি”, বিজ্ঞানের রোমান্স, ধরা পড়েছে কয়েকটি সহজ লাইনে, ঘকুনির অংশ অত্যন্ত অল্প। “যৌগিক” কবিতায় বিপুল বিচিত্র মাটির উপর চার দিকে জড় ও জীবনের মেলামেশার যে আওড় লেগেছে দু-চারটে হালকা কথায় তার ছবি ফুটেছে, এই স্বল্পবাক বিশেষত্বেই এর রস । কালো জলে পরিচিত বন্দরের দিকে জাহাজ ভেসে চলেছে কেমন তার একটা ইঙ্গিত। সমুদ্রের নীল কারখানা, লক্ষ লক্ষ ঢেউয়ের চাকা উঠছে পড়ছে, পৃথিবীকে বানিয়ে তোলবার মজুরি চলছে দিনরাত্রি, এ বিরাট কলের ধোওয়া নেই, আগুন আছে চাপা, ডাইনামো চোখে পড়ে না— জাহাজের মালেক প্রকৃতির কারখানা-ঘর থেকে নিরুদ্ধ বেগ চুরি করে এনে তার বাধন খুলছে নিজের প্রয়োজনে স্বার্থে স্বার্থে লেগে যাচ্ছে মাতামাতি । কবি দেশবিদেশের দিগন্তের হাতছানি দেখে এসেছেন, কেবলমাত্র কলকাতা শহরের গলি-ঘুজির নয়। দরকার নেই তার গেয়ে রসের গাজিয়ে ওঠা তাড়ি জোগাবার। আরো অনেক কিছু নির্দেশ করবার আছে। সময় নেই, জায়গা নেই। আমার সম্পৰ্কীয় একটা অপবাদ শুনেছি যে আমার নিজের ছাদের কবিতা ব্যুহ বেঁধে আছে বাংলা সাহিত্যকে ঘিরে। তারি বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অসহিষ্ণুতা প্রায় দেখতে পাওয়া যায়। সেই বিদ্রোহ জয়ী হোক এ আমি অন্তরের সঙ্গে কামনা করি । তাই আমি আনন্দ পেয়েছি צר ס\