পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহযোগিতা আমার পক্ষে বহুমূল্য হয়েছিল সে কথা কোনোনি ভুলতে পারবো না— কোনোদিন তোমার অভাব পূর্ণ হবে না।... ” ইহার পরের চিঠি— “অমিয়, তোমার কথা বারবার মনে পড়ে। তুমি আমাকে যেমন ঘনিষ্ঠভাবে জেনেছিলে পেয়েছিলে, এমন কারো পক্ষে সম্ভবপর নয়, এইজন্তে আমি তোমার পরে সম্পূর্ণ নির্ভর করতে পেরেছি। এরকম সঙ্গ আমি আর কারো কাছ থেকে আশা করিনে।” বিদেশে বাসকালে ও অধ্যয়ন সমাপ্তির পর দেশে প্রত্যাবর্তনের পর অমিয়চন্দ্র রবীন্দ্রনাথের সহিত এই সহকারিতা অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিলেন, রবীন্দ্রনাথের চিঠিগুলিই তাহার নিদর্শন। নবজাতক কাব্যগ্রন্থের কবিতা নির্বাচন ও গ্রন্থন অমিয়চন্দ্র করেন, নবজাতক গ্রন্থের ভূমিকায় এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশদভাবে লিখিয়াছেন । আফ্রিকা কবিতা বিশেষভাবে অমিয়চন্দ্রের অনুরোধেই লিখিত। লক্ষণীয় যে, জীবনের শেষ ভাগে দেশের রাষ্ট্রিক অবস্থা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য বহু ক্ষেত্রেই শ্ৰীঅমিয় চক্রবর্তীকে পত্রযোগে লিখিত । ১৯৩২ সালে পারস্তভ্রমণকালে সঙ্গী অমিয়চন্দ্রের উদ্দেশে একটি রচনায় তার প্রতি রবীন্দ্রনাথের প্রীতি কাব্যরূপ লাভ করিয়াছে— বাহিরে তোমার যা পেয়েছি সেবা অস্তরে তাহ রাখি, কর্মে তাহার শেষ নাহি হয় 章 প্রেমে তাহ থাকে বাকি । আমার আলোর ক্লাস্তি ঘুচাতে দীপে তেল ভরি দিলে । তোমার হৃদয় আমার হৃদয়ে সে আলোকে যায় মিলে ।