পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু এই রকম নালিশ করাটা মানুষের সুখেরই একটা অঙ্গ । এই বাজে জগৎটা জগতের পনেরো আনা অংশ। বাকি জগৎটাতে আর্টিষ্টের দল নিৰ্ব্বাসিত। তারা মাঝে মাঝে তুলি চালায়, গান গায়, আর বাকি সময়টা হায় হায় করে, কি-জানিকি খোজে আর তাদের এই এক-অানী জগতের বদ্ধ দরজায় মাথা ঠুকে মরতে থাকে। তোমাকে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়তে হবে— তাতে তুমি যে ঘষড়ানি পাবে তাতে তোমার কোনো ক্ষতি হবে না— ভালই হবে— মজবুত হয়ে উঠবে। আজ আর বেশি সময় নেই— অন্তদিন যখন সময় পাব তখন কুঁড়েমিতে পেয়ে বসবে সে আরো মুস্কিল— সেইজন্যে কাজের সমূহতার ভিতরেই ঠেলে-ঠুলে একটু ফাক করে নিয়ে তোমাকে এই কয় লাইন লিখে দিলুম। ক্ষিতীশ সেনের তর্জমাটি আমার ভালই লাগল। ইতি ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩২৯ -R> { ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ ] কল্যাণীয়েযু ১৬ই তারিখে প্রাতে শান্তিনিকেতন থেকে যাত্রা করে বিকেলে কলকাতায় পৌছব— ১৭ই তারিখে সন্ধ্যার সময় কাশীধামে যাত্রা করব । ইতিমধ্যে দেখা কোরো। ১৬ই বিকেলের দিকে এসো। শুভাকাঙ্ক্ষী স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর \OS