পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে নয়— তার সঙ্গে বীরত্ব প্রকাশের প্রসঙ্গ আছে বলে । এই বীরত্ব প্রকাশটার একটা চরমমূল্য আছে, কোনো একটা উদ্দেশু সাধনের উপায়মাত্র বলে নয়। এর থেকে বুঝতে হবে, মানুষের চেষ্টা যেখানে চরমকে, ultimateকে, স্পর্শ করেছে সেইখানেই তার গান জেগেছে। একটা সুন্দর ঘট ব্যবহারযোগ্যতার মূল্যে মূল্যবান নয়, সে অমূল্য বলেই মূল্যবান, সে সুষমার গৌরবে প্রয়োজনের দরদপ্তরকে পেরিয়ে গেছে। এইজন্যে Grecian Urnএর উপর কবিতা লেখা চলেছে কিন্তু Grecian হাতুড়ির উপর চলে নি । Efficiency যতই বিস্ময়জনক হোক কোনোদিন মানুষের মনে সুর জাগায় নি ; implements মানুষকে সম্পদশালী করেছে কিন্তু inspire FCR fR I CITIR CEFTIR Bs-F5, perfection, আপনাতে আপনি পৰ্য্যাপ্ত, অর্থাৎ যেখানে সে অসীমে পৌছিয়েছে সেইখানেই সে মানুষকে কবি করেছে, রূপকার করেছে। প্রেয়সীর হাতের কাছে মানুষ সম্পূর্ণ হার মানতে রাজি কিন্তু কারিগরের হাতিয়ারের কাছে নয়। আজকালকার দিনে সুবিধার বিশ্বজোড়া হাটে মানুষ বড় বড় হাতিয়ার সব তৈরি করচে, প্লেটোর আমলে এস্কিলসের আমলে তা ছিল না, সেই অভাববশত মনুষ্যত্ব কিছুমাত্র খাটো ছিল না। বৈজ্ঞানিক হাতিয়ারের যোগে মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বড় ও সংখ্যায় বহুল হয়েছে, অর্থাৎ মানুষ হয়েচে Giant, কিন্তু স্বয়ং মানুষ তাতে বড় হয় নি। মানুষের personalityর মহত্ত্বর চেয়ে তার সাংসারিক সুবিধাসাধনের সুযোগ বড় নয়। এইজন্যেই 8 ૨