পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনশ্চ। দ্রুত চলতে চলতে উপরে উপরে যে ছবি চোখে জাগল, যে ভাব মনের উপর দিয়ে ভেসে গেল তাই লিখে দিয়েছি, কিন্তু তাই বলে এটাকে বালির প্রকৃত বিবরণ বলে গণ্য করা চলবে না। এই ছবিটিকে হয়তো আবরণ বলাও চলে। কিন্তু উপরের আবরণে ভিতরের ভাবের ছাপ নিত্যই পড়ে তো । অতএব আবরণটিকে মানুষের পরিচয় নয় বলে উপেক্ষা করা যায় না। যে আবরণটিকে কৃত্রিম ছদ্মবেশের মতো উপর থেকে চাপা দেওয়া হয় সেইটেতেই প্রতারণা করে,— কিন্তু যে আবরণ চঞ্চল জীবনের প্রতিমুহূৰ্ত্তের ওঠায় পড়ায় বাকায় চোরায় দোলায় কাপনে আপন আপনি একটা চেহারা পায় মোটের উপর তাকে বিশ্বাস করা চলে। এখানকার ঘরে মন্দিরে বেশে ভূষায় উৎসবে অনুষ্ঠানে সব প্রথমেই যেটা খুব করে মনে আসে সেটা হচ্চে সমস্ত জাতটার মনে শিল্পরচনার স্বাভাবিক উদ্যম । একজন পাশ্চাত্য আর্টিস্ট এখানে তিন বছর আছেন, তিনি বলেন এদের শিল্পকলা থেমে নেই, সে আপন বেগে আপন পথ করে নিয়ে এগিয়ে চলেচে, কিন্তু শিল্পী স্বয়ং সে সম্বন্ধে আত্মবিস্মৃত । তিনি বলেন কিছুকাল পূৰ্ব্বে পর্য্যন্ত এখানে চীনেদের প্রভাব ছিল। দেখতে দেখতে সেটা আপনি ক্ষয়ে আসচে, বালির চিত্ত আপন ভাষাতেই আত্মপ্রকাশ করতে বসেচে। তার কাজে এমন অনায়াস প্রতিভা আছে যে, আধুনিক যে দুই একটি মূৰ্ত্তি তিনি দেখেছেন সেগুলি যুরোপের শিল্প প্রদর্শনীতে পাঠালে সেখানকার লোক চমকে উঠবে এই 心8