পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষকে বাচায়, যেখানে তার চর্চা নেই, তার প্রতি বিশ্বাস নেই সেখানে মানুষের আত্মাবমাননা আত্মপীড়ন থেকে তাকে কে বাচাবে ? তবুও এইগুলোকেই প্রধান করে দেখবার নয়। জ্যোতির্বিবদের কাছে সূর্য্যের কলঙ্ক ঢাকা পড়ে না, তবু সাধারণ লোকের কাছে তার আলোটাই যথেষ্ট । সূৰ্য্যকে কলঙ্ক বললে মিথ্যে বলা হয় না তবুও সূৰ্য্যকে জ্যোতিৰ্ম্ময় বললেই সত্য বলা হয়। তথ্যের ফর্দ লম্বা করা যে সব বৈজ্ঞানিকের কাজ, র্তারা পশুসংসারে হিংস্র দাত নখের ভীষণতার উপর কলমের ঝোক দেবামাত্র কল্পনায় মনে হয় পশুদের জীবনযাত্রা কেবল ভয়েরই বাহন । কিন্তু এই সব অত্যাচারের চেয়ে বড়ো হচ্চে সেই প্রাণ যা আপনার সদাসক্রিয় উদ্যমে আপনাতেই আনন্দিত, এমন কি, শ্বাপদের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল ও চেষ্টা, সেও এই আনন্দিত প্রাণক্রিয়ারই অংশ । Inter-Ocean নামক যে মাসিকপত্রে একজন লেখকের বর্ণনা থেকে বালির মেয়েদের দুঃখের বৃত্তান্ত পাওয়া গেল সেই কাগজেই আর একজন লেখক সেখানকার শিল্পকুশল, উৎসববিলাসী, সৌন্দৰ্য্যপ্রিয়তাকে আনন্দের সঙ্গে দেখেছেন । তার সেই দেখার আলোতে বোঝা যায় গ্রানির কলঙ্কটা অসত্য না হলেও সত্য নয়। এই দ্বীপে আমরা অনেক ঘুরেচি, গ্রামে পথে বাজারে শস্যক্ষেত্রে মন্দিরদ্বারে উৎসবভূমিতে ঝরনাতলায় বালির মেয়েদের অনেক দেখেচি, সব জায়গাতেই তাদের দেখলুম সুস্থ সুপরিপুষ্ট, সুবিনীত, সুপ্রসন্ন— তাদের মধ্যে পীড়া অপমান অত্যাচারের কোনো \ყNo